গাজা উপত্যকার রাফায় হামলা করার ব্যাপারে ইসরাইলকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
হামাসের সিনিয়র নেতা ওসামা হামদান বুধবার হিজবুল্লাহ-সমর্থিত লেবাননের ‘আল-মানার’ চ্যানেলকে বলেছেন, ‘শত্রু যদি রাফায় স্থল আগ্রাসী অভিযান চালায়, তবে আলোচনা বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ, গুলির মধ্যে প্রতিরোধ আন্দোলন আলোচনা চালায় না।’
হামদান আরো বলেন, হামাসের প্রতিরোক সক্ষমতা এখনো উচ্চ পর্যায়ের রয়েছে। প্রতিরোধ আন্দোলন এখনো দারুণ আছে। আর একইসময়ে জায়নবাদী এলিট ব্রিগেডগুলো গাজা উপত্যাকায় ধরে পড়ছে।
তিনি আরো বলেন, ইসরাইলি শত্রুরা তাদের সক্ষমতা নিয়ে বাজি ধরেছে। তবে প্রতিরোধ আন্দোলন প্রস্তুতি নিচ্ছে।
হামদান নিশ্চিত করেন যে হামাদের দুই নেতা মোহাম্মদ দেইফ এবং ইয়াহিয়া সিনওয়ারের সাথে স্থায়ী যোগাযোগ আছে। তারা মাঠের পরিস্থিতির ওপর ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখছেন।
তিনি বলেন, যুদ্ধের ব্যাপারে নিয়মিত সমন্বিত কার্যক্রম চলে।
হামদান বলেন, এই যুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফল হলো এই যে প্রতিরোধ বলয়ের শক্তি ও ক্ষমতা বেড়েছে। জায়নবাদী সত্তার বিরুদ্ধে ইরানি প্রতিক্রিয়ার ফলে নতুন সমীকরণের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘যারা গাজায় সমুদ্র জেটি নির্মাণ করছে, তারা হলো আমেরিকান সরকার।’ তিনি বলেন, গাজার মাটিতে প্রতিটি সশস্ত্র সৈন্য ফিলিস্তিনি জনগণের শত্রু। গাজা উপত্যকায় নতুন রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ নির্মাণের প্রকল্পটি প্রতিরোধ আন্দোলন ভণ্ডুল করে দেবে।
তিনি একইসাথে চীনা মধ্যস্ততাকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, শত্রু রাফা যুদ্ধে প্রত্যেককে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছে।
এদিকে হামাসের একটি সূত্র সৌদি পত্রিকা আশরাককে বলেছে, এবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের ব্যাপারে ভিন্ন পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
হামাস সদস্যরা কায়রোতে আলোচনার পর ফিরে গেছে। তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ইসরাইলের দেয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানাবে।
সূত্র : জেরুসালেম পোস্ট
Leave a Reply