ইসরাইল সরকার ২০২৩ সালে মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। সোমবার প্রকাশিত মানবাধিকার চর্চাবিষয়ক ২০২৩ সালের মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কাউন্টি রিপোর্টে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
ইসরাইলবিষয় ১০৩ পৃষ্ঠার প্রতিবেদেন মানবাধিকার লঙ্ঘনের এক ডজনের বেশি ঘটনার ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন’ তুলে ধরা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন, নির্বিচারে আটক, সঙ্ঘাত-সংশ্লিষ্ট যৌন সহিংসতা বা শাস্তি, কোনো স্বজনের কথিত অপরাধের জন্য পরিবার সদস্যদের শাস্তি প্রদান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত কর্মকর্তাদের শনাক্ত করা এবং শাস্তি প্রদানে সরকার কিছু বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
প্রতিবেদেন কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ বা বিচারের তারিখ ছাড়াই প্রশাসনিক আটকাদেশের আওতায় বন্দী থাকা লোকদের সাথে করা আচরণের ওপর বিশেষ নজর দেয়া হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদেন বল হয়েছে, প্রশাসনিক আইনে নির্যাতন এবং অন্যান্য নির্দয় আচরণ, অমানবিকতা বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তি দেয়া নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনা বক্তব্য নেই। বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে যে ইসরাইল সরকারের কর্মকর্তারা তা করে থাকেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলি সরকার জিজ্ঞাসাবাদের নিয়ম, প্রক্রিয়া এবং পদ্ধতির কথা প্রকাশ করে না, সেগুলো পুরোপুরি গোপন রাখা হয় নিরাপত্তাগত কারণে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এনজিও এবং বন্দীরা সাক্ষ্য দিয়েছে যে ইসরাইলের হাতে আটক ফিলিস্তিনি বন্দীরা শারীরিক ও যৌন সহিংসতা, হুমকি, ভীতিপ্রদর্শনের শিকার হয়, মারাত্মকভাবে সীমিত খাদ্য ও পানির সুবিধা পায়, পর্যাপ্ত পোশাক ছাড়াই চরম ঠান্ডার মধ্যে তাদের রাখা হয়, নিয়মিতভাবে দীর্ঘ সময় একাকী রাখা হয়।
প্রতিবেদনে ২৩ অক্টোবর ইসরাইলি নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের ঘোষণাও উল্লেখ করা হয়। তিনি বলেছিলেন, বন্দীদের আরো জনাকীর্ণভাবে রাখা, বিছানার বদলে ম্যাট্রেস দেয়া, সার্বিকভাবে থাকার মানের আরো খারাপ করা হবে।
সূত্র : জেরুসালেম পোস্ট
Leave a Reply