জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন, সাইবার নিরাপত্তা, আইসিটি, প্রতিরক্ষা, এভিয়েশন, মহাকাশ, অর্থনৈতিক সংস্কার এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে আরো কৌশলগত সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই।
তিনি দু’দেশের জনগণের মধ্যে সংস্কৃতি, রন্ধনপ্রণালী ও শিল্পকলার মিল তুলে ধরেন এবং প্রত্নতাত্ত্বিক মিশন ও সাংস্কৃতিক দল বিনিময়ে সহযোগিতা বাড়ানোর অনুরোধ করেন।
আগামী বছর প্যারিসে বাংলাদেশি সংস্কৃতি ও শিল্পকলা নিয়ে দুই সপ্তাহব্যাপী একটি উৎসবের আয়োজন করবে ফ্রান্স।
বৃহস্পতিবার(২৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই।
১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ফ্রান্সের স্বীকৃতির কথা স্মরণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে প্রথম স্বীকৃতি দেয়া কয়েকটি দেশের মধ্যে ফ্রান্স অন্যতম। এ সময় দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্ব হিসেবে আখ্যায়িত করেন হাছান মাহমুদ।
তিনি ২০২১ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্রান্স সফর এবং ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানেল ম্যাক্রোঁর বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এটি আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কৌশলগত সম্পর্কের দিকে রূপান্তরিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় ফরাসি প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন পত্র দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলা, দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে আগামী তিন বছরে ১ বিলিয়ন ইউরোর আর্থিক প্রতিশ্রুতিসহ উন্নয়ন সহযোগিতার জন্য ফরাসি সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উত্থাপিত গভীর উদ্বেগের জবাবে ফরাসি রাষ্ট্রদূত তার সরকারের অব্যাহত মানবিক ও রাজনৈতিক সমর্থনের আশ্বাস দেন।
উভয় পক্ষই গাজার যুদ্ধের বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন এবং সঙ্কটের দ্রুত অবসানের প্রত্যাশা করেছেন।
সূত্র : ইউএনবি
Leave a Reply