‘ইসলামী শরিয়াহ আইনের জায়গা নেই ইউরোপে। কারণ ইউরোপীয় সভ্যতার সাথে একেবারেই খাপ খায় না ইসলামী সংস্কৃতি। এই দুটি বিষয় কখনই একসাথে থাকতে পারে না। কেননা, ইসলামী রীতির সাথে মানিয়ে নিতে পারবে না ইউরোপের নীতি।’- এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ ‘বন্ধু’ ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। শরিয়ত আইন বলবৎ থাকার কারণে সৌদি আরবকেও একহাত নেন অতি দক্ষিণপন্থী বলে পরিচিত এই নেত্রী।
রোববার একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল মেলোনির দল ব্রাদার্স অফ ইতালি। সেখানে হাজির ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও ধনকুবের এলন মাস্ক। ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মেলোনি।
তিনি বলেন, ‘ইসলামী রীতি বা ইসলামী নিয়মের কিছু অংশ আমাদের সভ্যতার সাথে একেবারেই মানানসই নয়।’ যেহেতু শরিয়ত আইন মেনেই কাজ করে সৌদির বিচারব্যবস্থা, তাই নিজের বক্তৃতার মধ্যেই দেশটিকেও একহাত নেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী। সেই সাথে জানিয়ে দেন, ইতালিতে শরিয়ত আইন কার্যকর হতে দেবেন না তিনি।
মেলোনি বলেন, ‘শরিয়ত অনুযায়ী পরকীয়া করলে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলার বিধান রয়েছে। সমকামিতার জন্যও মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে সেই আইনে। আমি মনে করি- এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন। ইউরোপের নানা প্রান্তে ইসলামের কিছু আদর্শ ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, যা মোটেই আমাদের সাথে মানায় না। আমাদের মূল্যবোধ একেবারেই আলাদা, তাই ইতালিতে শরিয়ত কার্যকর হতে দেব না।’
এই সম্মেলন থেকেই মেলোনিকে মার্গারেট থ্যাচারের সাথে তুলনা করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তার মতে, শরণার্থী সমস্যা সমাধানে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মতোই কাজ করছেন মেলোনি। বর্তমান দুনিয়ায় থ্যাচারের আদর্শ মেনে চলার পক্ষেই কথা বলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, নিন্দার মুখে পড়লেও ব্রিটেন ও ইতালি দুই দেশই কড়া হাতে শরণার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করছে। এই অনুষ্ঠানেই সুনাক সাফ জানান, বহিরাগতদের দেশে ঢুকতে দেয়ার সুযোগ করে দিয়ে, আসলে সমাজ-ব্যবস্থাকে অস্থির করে তুলতে চাইছে শত্রুরা।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
Leave a Reply