বন্দীদের দেশে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়ে সরকারের উপর চাপ ও বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি পরিবারগুলো।
শনিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলি বন্দীদের শত শত পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং সমর্থকরা গাজার অভ্যন্তরে এখনো বন্দী ১৩৮ জনের মুক্তির আহ্বান জানিয়ে ইসরাইলি সরকারের উপর চাপ অব্যাহত রেখেছে।
বন্দীদের স্বজনরা বারবার হামাসকে নির্মূল করার আগে তাদের পরিবারের সদস্যদের মুক্তিকে অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানায়।
মঙ্গলবার সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের একটি দল ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সাথে বৈঠক করে। সভায় উপস্থিত লোকদের উদ্ধৃত করে, ইসরাইলি মিডিয়া নেতানিয়াহুর পদত্যাগের আহ্বান জানানোর সময় কিছু পরিবারের সদস্যদের সাথে বিশৃঙ্খলার দৃশ্য বর্ণনা করেছে।
গাজায় এখনও বন্দী ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সাথে সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের একটি দল একটি উত্তেজনাপূর্ণ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সাথে দেখা করেছে। সভায় উপস্থিত লোকেরা নেতানিয়াহুর পদত্যাগের আহ্বান জানানোয় পরিবারের সদস্যদের সাথে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
এদিকে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ১৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ১০ হাজারেরও বেশি শিশু এবং নারী। আহত হয়েছে ২৮ হাজার ২০০ জনেরও বেশি।
গত মাস থেকে অবরুদ্ধ ছিটমহলে ইসরাইলের অবিরত বিমান ও স্থল হামলায় হাসপাতাল, মসজিদ এবং গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
ইসরাইলি সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ইতোমধ্যে ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করেছে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, শনিবার সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করেছে।
সূত্র : আল-জাজিরা
Leave a Reply