শুধু গাজা উপত্যকায় নয়, জাতিসংঘের সঙ্গেও যেন যুদ্ধে নেমেছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের পক্ষে জাতিসংঘ কথা বলায় বারবার তাদের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিচ্ছেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
গতকাল বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান প্রধান জ্যাভিয়ার লোপেজ ডোমিঙ্গুয়েজের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে জাতিসংঘ সনদের ৯৯ অনুচ্ছেদ জারির আহ্বান জানিয়েছেন মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। ফিলিস্তিনিদের পক্ষ নিতে এটি জাতিসংঘের নজিরবিহীন পদক্ষেপ। বৈশ্বিক সংকট সমাধানে জাতিসংঘ মহাসচিবের সবচেয়ে শক্তিশালী কূটনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত এই ধারা।
এর আগেও বেশ কয়েকবার ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে কথা বলেছেন অ্যান্তনিও গুতেরেস। যুদ্ধবিরতির আহ্বানও জানিয়েছেন বেশ কয়েকবার। তার এই অবস্থানের সমালোচনা করে আসছে ইসরায়েল।
সর্বশেষ জাতিসংঘের এই পদক্ষেপের পর বুধবার সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয় সমন্বয়ক লিন হাস্টিংয়ের আবাসন ভিসা বাতিল করেছে ইসরায়েল। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী এলি কোহেন বলেন, `যারা হামাসের হত্যযজ্ঞের সমালোচনা না করে গণতান্ত্রিক দেশ ইসরায়েলের নিন্দা করে। তারা জাতিসংঘে কাজ করতে পারে না এবং ইসরায়েলে প্রবেশ করতে পারবেন না।
যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলে গাজায় বোমা হামলা শুরুর পর এলি কোহেন বলেন, সম্ভব হলে গাজা উপত্যকায় আরও নারকীয় পরিস্থিতি তৈরি হবে। সেখানে মানবিক কার্যক্রম চালানোর অবস্থা থাকবে না।
তখন হাস্টিং বলেন, গাজায় ত্রাণ দেওয়ার কোনো বাস্তবতা নেই।
এর আগে ২৫ অক্টোবর জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান বলেছিলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছেন। তিনি তারা এই অবস্থঅনের সমালোচনা করে বলেন, ইসরায়েল জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের ভিসা দেবে না।
গুতেরেস বলেছিলেন, ৭ অক্টোবরের পরিস্থিনি `শূন্য‘ থেকে তৈরি হয়নি। এ ছাড়া গাজাবাসীদের দক্ষিণে চলে যাওয়ার ইসরায়েলি নির্দেশের সমালোচনাও করেছিলেন তিনি। এতেই ক্ষুব্ধ হয় ইসরায়েল।
তারও আগে ১৮ অক্টোবর আহলি হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলার পর অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান গুতেরেস। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিরা সামষ্টিক সাজার মুখে পড়েছে।
১৪ নভেম্বর এলি কোহেন বলেন, জাতিসংঘ হামাসের যথাযথ সমালোচনা করেনি। গুতেরেস এই সংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যোগ্য নন।
Leave a Reply