দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আমেরিকার অস্ত্রবলে রুশ বাহিনীকে প্রতিরোধ করার প্রবল চেষ্টা করে যাচ্ছে ইউক্রেন। কিন্তু এবার অর্থ সঙ্কটে পড়েছে ওয়াশিংটনের। অনির্দিষ্ট কালের জন্য ইউক্রেনকে মদত জুগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এমনটাই জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, সোমবার হোয়াইট হাউসের বাজেট ডিরেক্টর শালান্ডা ইয়ং হাউসের স্পিকার তথা রিপাবলিকান দলের সদস্য মাইক জনসনসহ কংগ্রেসের অন্যান্য সদস্যকে চিঠি লেখেন। যেখানে ইয়ং জানিয়েছেন, যুদ্ধে ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য সময় ও অর্থ দুই-ই ফুরিয়ে আসছে আমেরিকার। চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই, কংগ্রেসের পদক্ষেপ ছাড়া চলতি বছরের শেষে আমাদের ইউক্রেনকে অস্ত্র প্রদান করার মতো অর্থ ফুরিয়ে আসবে। আমেরিকার সামরিক বাহিনীর ভাণ্ডার থেকেও অস্ত্র পাঠানো যাবে না। আমাদের টাকা প্রায় শেষ।’
এদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কঠিন ভবিষ্যত দেখছেন হোয়াইট হাউসের বাজেট ডিরেক্টর। তাঁর মতে, কিয়েভের আর্থিক অনুদানে কাটছাঁট করলে ও সামরিক সাহায্য না করলে যুদ্ধের ময়দানে রাশিয়ার জয়ের সম্ভাবনা বাড়বে। গত অক্টোবর মাসে কংগ্রেসের কাছে ১০৬ বিলিয়ন ডলারের তহবিলের অনুরোধ জানায় জো বাইডেন প্রশাসন। সীমান্ত সুরক্ষা, ইউক্রেন ও ইজরায়েলকে সাহায্য করার লক্ষ্যে ওই অর্থ চাওয়া হয়েছিল।
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ইউক্রেনকে বেহিসাবি সামরিক সহায়তার ফলে আমেরিকার অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে এই সহায়তা নিয়ে আমেরিকার অন্দরেই মারাত্মক অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। এমনিতেই মুদ্রাস্ফীতিতে জেরবার বাইডেনের দেশ। এমতবস্থায় ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থসাহায্য বন্ধের পক্ষেই কথা বলেছেন সে দেশের বহু জনপ্রতিনিধি।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
Leave a Reply