চীনের সামরিক বাহিনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলছে, তারা শনিবার থেকে মিয়ানমারের সাথে সীমান্তের নিজেদের অংশে ‘যুদ্ধ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম’ শুরু করবে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দেশটিতে পণ্য পরিবহন করে নিয়ে যাওয়া একটি ট্রাক বহর আগুনের শিখায় ভস্মীভূত হওয়ার এক দিন পর এ বিষয়টি জানাল চীন।
এ ঘটনাটিকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বিদ্রোহীদের হামলা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এটি এমন সময় এলো যখন চীন নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
চীনের প্রতিনিধি মিয়ানমারের রাজধানীতে শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করে সীমান্তে স্থিতিশীলতা আনার বিষয়ে আলোচনা করেন। সাম্প্রতিক সময়ে এই দুই দেশের সম্পর্কে কিছুটা টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে, যা খুবই বিরল ঘটনা।
চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির পাঁচ বাহিনীর অন্যতম, দ্য সাউদার্ন থিয়েটার কমান্ড উইচ্যাট মেসেজিং অ্যাপে জানিয়েছে, এই প্রশিক্ষণের লক্ষ্য হল ‘বাহিনীর সেনাদের (জরুরি পরিস্থিতিতে) দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া, সীমান্ত অবরুদ্ধ করা ও সরাসরি হামলা চালানোর সক্ষমতা যাচাই করা’।
এই সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে (এই মহড়া) কখন আয়োজিত হবে বা এতে কতজন সেনা অংশ নেবেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর সবচেয়ে বড় সমন্বিত, সশস্ত্র প্রতিরোধের মোকাবিলা করছে। শুক্রবার মিউস শহরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এমন সময় ঘটল যখন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশটির উত্তর-পূর্ব ও অন্যান্য অংশে বেশ কয়েকটি শহর ও সামরিক চৌকির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।
জাতিসঙ্ঘ বলছে, মিয়ানমারের ক্রমবর্ধমান সংঘাতে ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা
Leave a Reply