অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় শুরু হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি। আজ শুক্রবার সকালে এই যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এতে ১৪০০ ইসরায়েলি নাগরিক প্রাণ হারায়। জবাবে গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে ১৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ২৫ হাজারেরও বেশি। তাদের বেশিরভাগই বেসামরিক। সামরিক হতাহত এড়াতে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছিল। হামাসের পক্ষ থেকেও প্রথম এমন আভাস মিলে মঙ্গলবার। গতকাল বুধবার মধ্যস্থতাকারী কাতারের পক্ষ থেকে জানানো হয় বেশ কিছু শর্ত মেনে দুই পক্ষ রাজি হয়।
বৃহস্পতিবার এটি কার্যকর হওয়ার কথা জানিয়েছিল মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার। তবে তা পিছিয়ে যায়। ইসরায়েল দাবি করছে, জিম্মি মুক্তির তারিখ পেছানোর কারণেই পিছিয়েছে এই চুক্তি।
অবশেষে শুরু হলো কাঙ্ক্ষিত এই যুদ্ধবিরতি। বাংলাদেশ সময় রাত আটটার দিকে শুরু হবে বন্দিবিনিময়। ১৩ ইসরায়েলি নাগরিককে প্রথমে মুক্তি দিবে হামাস। তারা সবাই নারী ও শিশু। ইসরায়েল মুক্তি দেবে ৩৯ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে।
৪ দিনেরযুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী হামাস তাদের কাছে জিম্মি থাকা ৫০ জন বন্দি মুক্তি দেবে, বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী ১৫০ জন ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে মুক্তি দিতে হবে। চারদিন পরেও যুদ্ধবিরতি বাড়তে পারে। ৫০ জনের পর প্রতি ১০ জন জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে একদিন করে যুদ্ধবিরতি বর্ধিত করবে ইসরায়েল।
Leave a Reply