মিছিলের নগরী হয়ে উঠেছে খুলনা। মহানগরী এবং পাশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেছেন। খুলনার সার্কিট হাউজ ময়দানে বিকাল ৩টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা রয়েছে।
এতে যোগ দেওয়ার জন্য ভোর থেকে খুলনার পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে আসতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা। সকাল ১০টার দিকে কমলা রঙের গেঞ্জি এবং হলুদ কালারের ক্যাপ পরে বৃহৎ মিছিল নিয়ে জনসভায় প্রবেশ করেন মাশরাফি বিন মর্তুজার অনুসারীরা।
এ ছাড়া থেকে থেকে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ভিন্ন ভিন্ন ব্যানারে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীদের জনসভাস্থলে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
এদিকে সার্কিট হাউস মাঠে নৌকা ও পদ্মা সেতুর আদলে নির্মাণ করা হয়েছে ৯০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪০ ফুট প্রস্থের মঞ্চ। প্রায় ৪০০ অতিথি মঞ্চে বসার ব্যবস্থা রয়েছে। জনসভায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলা থেকে ১০ লাখ নেতাকর্মী যোগ দেবেন বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।
সকাল পৌনে ১১টায় সমাবেশ মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু করেন স্থানীয় শিল্পীরা। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে উপজীব্য করে একক ও যৌথ পরিবেশনা উপস্থাপন করে যাচ্ছেন তারা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং সূত্রে জানা গেছে, দলীয় জনসভাস্থল থেকে খুলনার ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৫টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন শেখ হাসিনা।
খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে দুপুর পৌনে ১টায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরণ করবেন। এরপর দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সার্কিট হাউসে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন তিনি।
বেলা পৌনে ৩টায় সার্কিট হাউস মাঠে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন সরকারপ্রধান। এরপর যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় জনসভায়।
সূত্রে আরও জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী দুই হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ২২৩ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩ মার্চ খুলনায় রাজনৈতিক সফরে এসেছিলেন। ওই সময় তিনি একই স্থানে জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রীর খুলনায় জনসভা উপলক্ষ্যে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। সমগ্র নগরী নতুনরূপে সেজেছে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে লেখা ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো।
সরকারি অফিসগুলোতে রাতের বেলায় নানান রংয়ের আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসভা স্থলসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আর সাদা ও পোশাকধারী পুলিশের নজরদারিসহ নৌপথে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সবমিলে তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জনসভাকে কেন্দ্র করে।
Leave a Reply