জর্ডানের রানি রানিয়া বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান ‘নৈতিকভাবে তিরস্কারযোগ্য’ এবং হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুকে যৌক্তিক করার মতো কাজ।
সিএনএনের সাথে এক সাক্ষাতকারে রানিয়া বলেন, গাজাকে হামাসমুক্ত করার ইসরাইলের চেষ্টা ‘ক্ষীণ-দৃষ্টি-প্রসূত এবং কোনোভাবেই তা যৌক্তিক নয়,’ কারণ ‘এই সঙ্ঘাতের মূল কারণ হলো অবৈধ দখলদারিত্ব।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা যদি এর মূল কারণগুলোর সমাধান না করি, তাহলে আপনি যোদ্ধাদের হত্যা করতে পারেন, কিন্তু কারণকে হত্যা করতে পারবেন না। এসব বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংস্তুপ থেকে আরো দৃঢ়প্রতিজ্ঞ কোনো গ্রুপের আত্মপ্রকাশ ঘটবে, এবং হামাসের চেয়ে আরো বেশি উদ্দীপ্ত কাজ করবে।’
ইসরাইল বেসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করে না বলে দেশটির দাবি প্রত্যাখ্যান করে জর্ডানের রানি বলেন, তাদের ওই দাবি জনসংযোগমূলক বিষয়।
তিনি বলেন, ইসরাইলি হামলায় ১০ হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছে। এদের ৭০ ভাগই নারী ও শিশু। ইসরাইল বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা বোধশক্তির অপমান।
বাড়তে থাকা সেমিটিজমবিরোধী ও ইসলামফোবিয়া মনোভাব সম্পর্কে রানিয়া উভয়টির নিন্দা করে বলেন, ‘সারা বিশ্বের সকল ইহুদির প্রতিনিধিত্ব করে না ইসরাইল। ইসরাইল তার সকল অপরাধের জন্য দায়ী। সারা বিশ্বের ইহুদিদের অনেকে তারা যা দেখছে, তাতে আতঙ্কিত।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মুসলিমরাই প্রথম সেমিটিকবিরোধিতার নিন্দা করেছিলাম। ইহুদিদের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের দীর্ঘ ইতিহাস মুসলিমদের রয়েছে।’
তিনি বলেন, ইসরাইলের সমালোচনা বন্ধ করার জন্যই অনেক ইসরাইলপন্থী সেমিটিজমবিরোধিতাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
‘আমরা অবশ্যই নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে লড়ব, আমরা জিতবই’ : সন্তানের লাশ নিয়ে বাবার শপথ
’আমরা অবশ্যই নেতানিয়হুর বিরুদ্ধে লড়ব, আমরা জিতবই’- সন্তানের লাশ নিয়ে এমন শপথই পাঠ করলেন এক ফিলিস্তিনি বাবা। গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় সন্তান নিহত হয়েছে। তিনি আশ-শিফা হাসপাতালের সন্তানের লাশ নিয়েই এই সংকল্প ব্যক্ত করেন। তার নাম সালামা মারুফ। তিনি গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস সরকারের মিডিয়া অফিসের প্রধান।
তিনি রোববার ক্যামেরার সামনে লাশটি দেখিয়ে চিৎকার করে বলেন, ‘আপনারা যা দেখছেন, সেটাই সত্য।’
তিনি বলেন, “ইসরাইলি নেতারা এই কাজই করছে। তারা এসব লোককে হত্যা করে বলছে যে তারা ‘অবকাঠামোতে’ হামলা করছে। এ মাসুম বাচ্চাটির দিকে দেখুন। সে কি ইসরাইলের প্রতি হুমকি ছিল?”
সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল, আল জাজিরা
Leave a Reply