গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান সংঘাতে ইসরাইলি বন্দীদের মুক্তির দাবিতে তেল আবিবে বিক্ষোভ হয়েছে।
রোববার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বিষয়ে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে নেতানিয়াহুর বাসভবন ও দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাইরেসহ কয়েকটি স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
এই বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বিভিন্ন চিন্তাধারা রয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রথমটি হলো- গাজা উপত্যকার অভ্যন্তরে ২৪০ জনেরও বেশি বন্দীর বিনিময়ে ইসরাইলি কারাগারে থাকা সমস্ত ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেয়া।
আরেকটি চিন্তা আছে, যেখানে বিক্ষোভকারীরা বলছে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেয়া উচিত নয়। কোনো যুদ্ধবিরতি হওয়া উচিত নয়। বন্দিদের ফেরত না আসা পর্যন্ত কোনো মানবিক সহায়তা দেয়া উচিত নয়।
এদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বলেছেন, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনো আলোচনা হবে না, অতিরিক্ত মানবিক সহায়তার বিষয়েও কোনো আলোচনা হবে না, যদি না বন্দিরা ওই চুক্তির অংশ হয়।
শনিবার সন্ধ্যায় হামাসের সামরিক শাখা বলেছে, ইসরাইলের অব্যাহত বোমাবর্ষণের কারণে প্রায় ৬০ জন ইসরাইলি বন্দী মারা গেছে।
কিন্তু ইসরাইলিদের এই বিক্ষোভগুলো সত্যিই সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য এবং তাদের মধ্যে অনেকেই নেতানিয়াহুকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় এরই মধ্যে ৯ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে বলে জানিয়েছে গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাদের হিসেব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ২২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, ৭ অক্টোবর সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।
বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে।
সূত্র : আল-জাজিরা
Leave a Reply