যুক্তরাষ্ট্রের মেইন অঙ্গরাজ্যে গুলিতে ২২ জনকে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে মেইনের লুইস্টনে ২২ জনকে হত্যার পাশাপাশি ৫০-৬০ জনকে আহত করার পর থেকে সন্দেহভাজন রবার্ট কার্ডকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছিল পুলিশ। খবর আল জাজিরা ও এপি।
অ্যান্ড্রোসকগিন কাউন্টি শেরিফের অফিস একটি ফেসবুক পোস্টে কার্ডের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, গুলির ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, মার্কিন সেনাবাহিনীর রিজার্ভ ঘাঁটির সার্জেন্ট রবার্ট কার্ড নিজেই গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ আরও জানায়, ৪০ বছর বয়সী কার্ড মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। এ বছরের শুরুর দিকে তিনি এ ব্যাপারে দুই সপ্তাহ চিকি’সা নিয়েছিলেন।
গত বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটার আগে আগে মেইনের ছোট শহর লিউইস্টনে একটি বোলিং খেলার স্থানে এক বন্দুকধারী প্রথম এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। সেখানে এক নারীসহ সাতজন নিহত হন। এর মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে নিকটবর্তী শেমেনজিস বার অ্যান্ড গ্রিল নামে একটি রেস্তোরাঁয় গিয়ে গুলি চালান ওই একই ব্যক্তি। সেখানে আরও আটজন নিহত হয়। এ দুই ঘটনায় গুরুতর আহত ১৬ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনার জন্য পুলিশ রবার্ট কার্ড নামের এক ব্যক্তিকে সন্দেহ করে তাকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালায়। তার ব্যাপারে জানা যায়, তিনি মার্কিন রিজার্ভ বাহিনীর একজন সদস্য। তবে তিনি সেখানে অস্ত্র প্রশিক্ষক ছিলেন না বা উন্নত অস্ত্র পরিচালনারও কোনো প্রশিক্ষণ নেয়নি বলে নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
দুই দিন ধরে পুলিশ বেশ কয়েকটি স্থানে তাকে ধরতে অভিযান চালায়। তবে সেখানে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে ৪৮ ঘণ্টা পর শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
মেইনের গভর্নর জ্যানেট মিলস বুধবারের ওই ঘটনাকে তার রাজ্যের জন্য ‘কালো দিন’ বলে উল্লেখ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি হতাহত এবং তাদের পরিবারের জন্য পূর্ণ ন্যায়বিচারের আশ্বাস দেন।
Leave a Reply