ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক বলেছেন, ইইউ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যে ভারসাম্যহীনতার কারণে তাদের মধ্যকার আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি সতর্ক করেছেন, এটি জনমতকে প্রভাবিত করতে পারে এবং তাদেরকে আরো দূরে সরিয়ে দিতে পারে।
শুক্রবার বেইজিং-এর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বক্তৃতায় ইইউর পররাষ্ট্র এবং নিরাপত্তা নীতি বিষয়ক শীর্ষ প্রতিনিধি জোসেপ বোরেল এ মন্তব্য করেন।
ইইউ-এর বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারের সাথে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ এবং বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করতে বোরেল চীনে তিন দিনের সফরের দ্বিতীয় দিনে সেখানে অবস্থান করছেন।
তবে বোরেল বলেন, যথেষ্ট পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও চীন এবং ইইউ একসাথে কাজ করার এবং উভয়ের মধ্যকার আস্থা পুনর্গঠনের অনেক জায়গা রয়েছে। তিনি বলেন, চীন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনৈতিক আন্তঃনির্ভরশীলতা অনেক বেশি এবং তাদের সেই ‘পারস্পরিক নির্ভরতায় দ্বন্দ্ব কমাতে’ হবে।
তাইওয়ান সম্পর্কে বোরেল বলেন, স্ব-শাসিত দ্বীপের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে। এটিকে স্বাধীন দেশ হিসেবে রাজনৈতিক স্বীকৃতি দেয়াকে বোঝায় না।
চীন তাইওয়ানকে তার ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দেখে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে তাইওয়ানকে অধিগ্রহণের অঙ্গীকার করে।
ইইউ কূটনীতিক আরো বলেন, ইউক্রেনের জনগণকে বেইজিং-এর এটি জানানো প্রয়োজন যে- চীন এই বিনা উস্কানির যুদ্ধে রাশিয়ার মিত্র নয়। ইইউ চীনকে ইউক্রেনে মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছে।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা
Leave a Reply