পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরে জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের একটি সাইড ইভেন্টে ‘ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশন’ উদ্বোধন করেন।
‘ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশনের’ মাধ্যমে ‘ডিজিটাল বৈষম্যমুক্ত বিশ্বের রূপকল্প’ শীর্ষক সাইড ইভেন্টটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও এটুআইয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয়।
গাম্বিয়া, উগান্ডা, ঘানা, সোমালিয়া, সাঁউ তুমি ও প্রিন্সিপির মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, জাতিসঙ্ঘ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এবং এটুআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ই-কোয়ালিটি সেন্টারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, সাউথ-সাউথ সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিগত বিভাজন দূর করা।
বাংলাদেশ সরকারের প্রতিষ্ঠিত এ সেন্টারটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার, গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্বের দেশগুলোর মাঝে প্রযুক্তিগত পার্থক্য দূরীকরণে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, বৈশ্বিক প্রযুক্তি হস্তান্তর, গবেষণা এবং অর্থনৈতিক সহায়তার মাধ্যমে সমতামূলক ডিজিটাল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে বাংলাদেশের ডিজিটাল ব্যবস্থার উন্নয়ন, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের যাত্রার বিষয়টি তুলে ধরেন।
উন্নয়নশীল দেশে প্রযুক্তি হস্তান্তরের প্রয়োজনীয়তা, দেশসমূহের মধ্যে সহযোগিতা, সমাজের সকল স্তরের মানুষের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা এবং ডিজিটাল বৈষম্য দূরীকরণের উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইসিটি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি অনুবিভাগের মাধ্যমে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিশ্চিতকরণ ও প্রয়োজনীয় উদ্ভাবনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে যার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল ভিশন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
সুদৃঢ় অংশীদারত্ব, বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তি আত্মীকরণের মাধ্যমে ই-কোয়ালিটি সেন্টার ডিজিটাল বিভাজনমুক্ত মানবজাতি সৃজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে ই-কোয়ালিটি সেন্টারের কারিগরি ও ব্যবহারিক নানা দিক উপস্থাপন করা হয়।
উপস্থিত বিভিন্ন দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও জাতিসঙ্ঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিগণ এই উদ্যোগের ব্যাপারে তাদের মতামত উপস্থাপন করেন।
তারা প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তিমূলক বন্টন, উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহের মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা এবং নতুন ডিজিটাল বাস্তবতার চ্যালেঞ্জসমূহের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ লক্ষ্যে ই-কোয়ালিটি সেন্টার কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এই অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল আইসিটি ইনোভেশন ফ্যাসিলিটির বিজয়ী প্রকল্পসমূহকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পুরস্কার বিতরণ করেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন।
জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের অংশগ্রহণে আরো একটি অনলাইন সেশন আয়োজন করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইসিটি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মুনতাসির মামুন এবং অন্যান্য কর্মকর্তাগণ সেশনটিতে অংশগ্রহণ করেন।
দেশ ও বিদেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্যদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সাইড ইভেন্ট এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সাফল্যের সাথে সমাপ্ত হয়।
সূত্র : ইউএনবি
Leave a Reply