কিডনির জটিল রোগে ভুগছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও উপস্থাপক আলিফ আলাউদ্দিন। তার দুটো কিডনিই প্রায় অকেজো হয়ে গেছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এখন আপাতত তিনি বাসাতেই আছেন। তবে প্রয়োজনে হাসপাতালে এবং চিকিৎসকের পরামর্শে চলছেন বলে জানিয়েছেন এই শিল্পী।
আলিফ আলাউদ্দিন বলেন, ‘মূলত গত ১০ বছর ধরে আমি এই অসুখে ভুগছি। এই ১০টা বছর আমি নিজেই এই অসুখের সঙ্গে যুদ্ধ করে চলেছি। চেষ্টা করেছি, সবসময় হাসিমুখে থাকতে। কিন্তু দিন দিন নিজেকে আর সামলাতে পারছি না। মনোবল প্রায় ভেঙে যাচ্ছিল। আপনাদের সবার সঙ্গে শেয়ার করতে পেরে নিজেকে খানিকটা হালকা লাগছে। আমি এখন অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী। আমি আমার ছোট্ট মেয়ের জন্য আরও কিছুদিন বাঁচতে চাই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’
তিনি আরও জানান, কিডনির জটিল এই অসুখটি তিনি পেয়েছেন তার মায়ের সূত্র ধরে। এটি একটি জেনেটিক রোগ। তার মা সংগীতশিল্পী সালমা সুলতানাও একই রোগে ভুগে ২০১৬ সালে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন।
ডাক্তারের সর্বশেষ প্রতিবেদনে আলিফ আলাউদ্দিন জানতে পারেন তার দুটি কিডনির ৮০ ভাগ বিকল। বর্তমানে চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মিত তার ডায়ালাইসিস চলছে। কিডনি প্রতিস্থাপন করা ছাড়া তার আর বিকল্প কোন পথ নেই বলেও জানান আলিফ আলাউদ্দিন।
এদিকে, বরেণ্য সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলীর উত্তরসূরি আলিফ আলাউদ্দিন। তার স্বামী মিউজিশিয়ান কাজী ফয়সাল আহমেদ, মামা সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন ছাড়াও নির্মাতা-উপস্থাপক আনজাম মাসুদ।
সংগীতশিল্পী শওকত আলী ইমন বলেন, ‘আমরা সবাই ওর সঙ্গে আছি। বরং এখন আমাদের বাড়তি পাওনা হলো আনজাম মাসুদ ভাইসহ পুরো মিডিয়া ওর সঙ্গে আছে। আজকেই প্রথম বিষয়টি ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন আনজাম ভাই। এরপর আমরা মিডিয়া থেকে যে মানসিক সাপোর্ট পাচ্ছি, সেটা তো আসলে চিকিৎসা করে পাওয়া যায় না। সবার এমন ভালোবাসায় আলিফ নিশ্চয়ই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবে।’
আনজাম মাসুদ জানান, আলিফের এই অসুখটির নাম পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ। এই অসুখের চিকিৎসা প্রক্রিয়া বেশ দীর্ঘ। এছাড়া কিডনি প্রতিস্থাপনের বিষয়টিও বেশ জটিল ও ব্যয়বহুল। ইতিমধ্যেই তার পরিবার থেকে কিডনি প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার আগ পর্যন্ত ডায়ালাইসিস চলবে। পাশাপাশি কিডনি ডোনারসহ আনুষঙ্গিক প্রস্তুতিও চলবে।
Leave a Reply