‘ভারত আমাদের বন্ধু, তারা গত ৭০ বছর ধরে সৌদি আরব গড়ায় আমাদের সাহায্য করছে। ভারতে অনেক সৌদি প্রকল্প রয়েছে, উন্নয়নে সহায়তা করছে।’ ভারত সফরে গিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের পর ভারতে ক্রাউন প্রিন্সের রাষ্ট্রীয় সফর অনেক বিশ্লেষকের মতে মধ্যপ্রাচ্যের কৌশলগত অবস্থান এবং দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কের জন্য টার্নিং পয়েন্টে পরিণত হতে চলেছে।
ক্রাউন প্রিন্স সালমান শনিবার জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে যান। এরপর তার ভারতে রাষ্ট্রীয় সফর শুরু হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে হওয়া এই সফরে দুই দেশের বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হয়েছে।
নয়া দিল্লিতে তার সম্মানে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ক্রাউন প্রিন্স বলেন, ভারতে এসে আমরা খুব খুশি। ভারত ও আরব উপদ্বীপের মধ্যে সম্পর্ক হাজার বছরের পুরনো। আমাদের মধ্যকার সম্পর্ক সৌদি আরবে আমাদের ডিএনএর মধ্যে রয়েছে।
সোমবার দুই দেশ জ্বালানি, পেট্রোক্যামিক্যালস, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কৃষি ও শিল্পখাতে বেশ কয়েকটি চুক্তি সই করে।
এ সফর প্রসঙ্গে মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের স্ট্র্যাটেজিক টেকনলজিস অ্যান্ড সাইবার সিকিউরিটি প্রোগ্রামের পরিচালক মোহাম্মদ সোলিমান আরব নিউজকে বলেন, সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের ভারত সফরের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এতে দিল্লি ও রিয়াদের মধ্যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক বিষয়াদিতে সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারত, সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং আরো কয়েকটি দেশ রেলওয়ে লিঙ্ক, বন্দর, বিদ্যুৎ, ডাটা নেটওয়ার্ক এবং হাইড্রোজেন পাইপলাইন নির্মাণের উদ্যোগে একমত হয়।
মোহাম্মদ সলিমান বলেন, এই নতুন করিডোরের তাৎপর্য অতিরঞ্জিত কিছু নয়। ইন্ডিয়া-মিডল ইস্ট করিডোর ভূমধ্যসাগরীয়, উপসাগরীয় অঞ্চর এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার এবং কৌশলগত নির্ভরশীলতা বাড়াবে। এটা ইউরোপ ও ইন্ডিয়া-প্যাসিফিকের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূরাজনৈতিক সেতুবন্ধ রচনা করবে।
সূত্র : আরব নিউজ
Leave a Reply