নাইজার থেকে সৈন্য প্রত্যাহার নিয়ে দেশটির সামরিক শাসকদের সাথে ফ্রান্স কথা বলছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গত জুলাই মাসে নাইজারে অভ্যুত্থানের পর দেশ দুটির সম্পর্ক তলানিতে নেমে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে এই আলোচনা হচ্ছে বলে ফ্রান্সের একটি মিডিয়া জানিয়েছে।
খবরটি নিশ্চিত করে মালি ও সেনেগালে নিযুক্ত সাবেক ফরাসি রাষ্ট্রদূত নিকোলাস নরমান্ড আল জাজিরাকে বলেন, তার সূত্র অনুযায়ী, ‘আংশিক’ সৈন্য প্রত্যাহার নিয়ে ফ্রান্স ও নাইজারের সামরিক বাহিনীর মধ্যে আলোচনা চলছে।
তিনি জানান, পরিচয় প্রকাশ না করতে ইচ্ছুক ওই সূত্রটি ইঙ্গিত দিয়েছে যে এই আলোচনাকে অভ্যুত্থানকারী নেতাদের স্বীকৃতি প্রদান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে না। বরং দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে কৌশলগত আলোচনা হিসেবে একে অভিহিত করা হচ্ছে।
ফ্রান্সের একটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে বলেন, ‘নির্দিষ্ট কিছু সামরিক উপাদান’ প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা চলছে।
ফ্রান্স এখনো নাইজারের সামরিক অভ্যুত্থানকে স্বীকৃতি না দিতে অনড় রয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুম ছিলেন ফ্রান্সের বশংবদ। হেফাজতে থাকা বাজুমকে এখনো সমর্থন করে যাচ্ছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
অভ্যুত্থানকারী নেতারা ফরাসি রাষ্ট্রদূত এবং সৈন্যদের নাইজার ছাড়ার আহ্বান জানাচ্ছে। অভ্যুত্থানের সমর্থনে লোকজনও ফরাসিদের প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।
সাহেল অঞ্চলে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের বৃহত্তর যুদ্ধের অংশ হিসেবে নাইজারে প্রায় ১,৫০০ ফরাসি সৈন্য অবস্থান করছে। অভ্যুত্থানের পর প্রতিবেশী মালি ও বুরকিনা ফাসো থেকে ফরাসি সৈন্য প্রত্যাহারের পর নাইজার পরিণত হয়েছিল ফ্রান্সের অতি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।
ফলে নাইজারের অভ্যুত্থানটি এই অঞ্চলে ফরাসি উপস্থিতির ওপর মারাত্মক আঘাত বিবেচিত হচ্ছে।
সূত্র : আল জাজিরা
Leave a Reply