রাশিয়ার স্কভে ড্রোন হামলায় চারটি সামরিক ট্রান্সপোর্ট প্লেন ক্ষতিগ্রস্ত। এছাড়া ক্রাইমিয়া-সহ পাঁচ জায়গায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন।
রাশিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্কভে সাময়িকভাবে বিমান চলাচল বন্ধ ছিল। এছাড়া ব্রায়নস্ক, কালুগা, ওরলয়, রিয়াজান ও ক্রাইমিয়ায় ড্রোন হামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার এস্তোনিয়া ও লাতভিয়ার সীমান্তের কাছে স্কভে ড্রোন হামলায় চারটি আইএল ৭৬ সামরিক পরিবহন বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্কভের গভর্নর জানিয়েছেন, বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি যাচাই করার পর তা আবার চালু হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে বৃহস্পতিবার থেকে আবার বিমান চলাচল শুরু হবে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, এই হামলার উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে। এরপরই কিয়েভের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে রাশিয়া।
ইউক্রেনের তরফ থেকে এখনো এই ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করা হয়নি। তারা এনিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ডিডাব্লিউ-র সাংবাদিক মিখাইল বুশুয়েভ লিখছেন, মস্কোর আকাশসীমায় প্রায়ই ইউক্রেনের ড্রোন হামলা হচ্ছে। ফলে এই আকাশসীমা আর নিরাপদ নয়। মনে হচ্ছে, যুদ্ধের কৌশল বদল করা হচ্ছে।
ইসরাইলের সামরিক-বিশেষজ্ঞ সের্গেই মিগদাল ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ‘সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, ইউক্রেন আর শুধু রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকানোর কাজ করছে না। বরং পাল্টা আক্রমণও করছে।’
ইউরোপীয় কাউন্সিলের ড্রোন বিশেষজ্ঞ ইউরিকে ফ্র্যাংকে বলেছেন, ‘এই হামলা থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট, যুদ্ধ এবার রাশিয়াতেও হবে।’
মিগদাল মনে করেন, ‘রাশিয়ার উপর চাপ অনেকটাই বেড়েছে। বিশেষ করে মস্কোয় তাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করার ব্যাপারে চাপ অনেকটাই বাড়লো।’
Leave a Reply