গত ১৫ বছরে একটি জেলায় কী কী উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় কত টাকা ব্যয় হয়েছে তা সংগ্রহ করে একটি বই প্রকাশের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সেই সাথে এটি প্রকাশের জন্য আগামী এক মাসের সময়সীমাও বেঁধে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ডিসিদের দেয়া এই চিঠিতে ১৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
জেলা প্রশাসকদের পাঠানো মন্ত্রিপরিষদের চিঠিতে বলা হয়, গত ৮ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাথে সব বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকদের হোম অ্যাপসের মাধ্যমে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাঠ প্রশাসনের উদ্দেশে নিম্নল্লিখিত দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এই নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য চিঠিতে অনুরোধ করা হয়।
নির্দেশনাগুলো হলো, আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ এবং জনসাধারণকে সচেতন করার তড়িত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। অতিসম্প্রতি ভারী বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যা/ জলাবদ্ধতা/ পাহাড় ধসের কারণে সৃষ্টি দুর্যোগে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অতিদ্রুত অবহিত করতে হবে। দুর্যোগ মোকাবেলায় জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণসামগ্রীর প্রয়োজন হলে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন দুর্ঘটনা/ দুর্যোগ মোকাবেলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীরা এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কাজ করতে হবে।
আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৩ এর প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকগণ কর্তৃক সভায় উত্থাপিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর পৃথক পৃথক প্রস্তাবনা বিস্তারিত তথ্যসহ প্রেরণ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটিকে অধিকতর কার্যকর করে তুলতে হবে। প্রয়োজনে জেলা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
গুজব সৃষ্টি ও অপপ্রচারের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে এবং জনগণকে সচেতন করতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রয়োজনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক প্রয়োগসিদ্ধভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। নবীন কর্মকর্তাদের মোবাইল কোর্ট ও সামগ্রিক বিষয়ে প্রশিক্ষণসহ সব কার্যক্রম যথাযথভাবে তদারকি করতে হবে। জেলাপ্রশাসক সম্মেলন ২০২৩-এ প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত ২৫ দফা দিকনির্দেশনা মাঠপর্যায়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের সাথে সমন্বয় করে বাস্তবায়ন করতে হবে এবং বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন নিয়মিত প্রেরণ করতে হবে।
পর্যাপ্ত মজুদ এবং সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও কেউ যেন মজুদ করে পণ্যমূল্য বৃদ্ধির অপচেষ্টা করতে না পারে সে বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। পাক্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন লেখার ক্ষেত্রে মনোযোগী হতে হবে, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা যেন বাদ না যায় আবার তুচ্ছ বিষয় যেন প্রতিবেদনে না আসে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। কোন অবস্থায় অনুমোদিত বালুমহাল ছাড়া বালু উত্তোলন করা যাবে না। নিজ অফিসসহ অন্যান্য বিভাগের শূন্য পদ পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। অন্যান্য বিভাগের শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রেরণ করা যেতে পারে।
Leave a Reply