একটু সময় লাগলেও ধীরে ধীরে আরবের আবহাওয়ায় নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। আল নাসেরের জার্সিতে আবারো পেয়েছেন গোলের দেখা। তার একমাত্র গোলে শুধু জয় নয়, রচিত হয়েছে ইতিহাস। প্রথমবারের মতো আরব ক্লাব চ্যাম্পিয়নস কাপের ফাইনালে পা রেখেছে আল নাসের।
১৯৮২ সাল থেকে চলছে আরবের এই টুর্নামেন্ট। প্রতিযোগিতার ইতিহাসে এবারই প্রথমবার ফাইনালে খেলবে আল নাসের। সেমিফাইনালে আল শোরতার বিপক্ষে রোনালদোদের জয় ১-০ গোলে। এর আগে শেষ ষোল ও শেষ আটের ম্যাচেও গোল পেয়েছিলেন এই পর্তুগিজ।
বুধবার (৯ আগস্ট) প্রিন্স সুলতান বিন আবদুল আজিজ স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে একের পর এক আক্রমণে যায় আল নাসর। প্রথমার্ধের বেশির ভাগ সময়ই বল ছিল আল শোরতার ডি-বক্সের আশপাশে। রোনালদো, সাদিও মানেদের সামলাতে যেন নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছিল শোরতার ডিফেন্সের।
তবে কাঙ্ক্ষিত গোলটি যেন কিছুতেই আসছিল না। বার বার আক্রমণেও শেষ বেলায় হতাশ হতে হচ্ছিল। গোলমুখ অবশ্য খুলেই ফেলেছিলেন রোনালদো, ব্রজোভিচের থ্রো ধরে দারুণ ফিনিশিংয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। অফসাইডের কারণে বাতিল হয় সেটি।
এর একটু আগেও অবশ্য এগিয়ে যেতে পারত আল নাসর। ২২ মিনিটে তালিসকার ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেয়া জোরালো শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান শোরতা গোলরক্ষক। প্রথমার্ধেই অ্যালেক্স টেলেসের নেয়া বুলেট-গতির শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে।
তাছাড়া হতাশ করেন মানেও, রোনালদোর সাজিয়ে দেয়া বল জালে জড়াতে পারেননি। আর প্রথমার্ধের একদম শেষ সময়ে গোলরক্ষককে একা পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন রোনালদো নিজেই। এমন দারুণ সব সুযোগ হাতছাড়া করার খেসারত হিসেবে খালি হাতে বিরতিতে যেতে হয় আল নাসরকে।
বিরতির পরও আক্রমণ অব্যাহত ছিল আল নাসেরের। ৭১ মিনিটে বল নিয়ে দারুণভাবে এগিয়ে গেলেও গোলমুখ খুলতে পারেননি মানে। তবে প্রথম ও ম্যাচের একমাত্র গোলটা আসে ওই মানের সৌজন্যেই। ৭৪ মিনিটের দিকে ডি-বক্সের ভেতর ফাউলের শিকার হন তিনি।
শুরুতে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগলেও পরে ভিএআরের সাহায্য নিয়েই পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। স্পট কিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি রোনালদো। এই এক গোলে ভর দিয়েই শেষ পর্যন্ত ফাইনালে পৌঁছে যায় আল নাসের।
অবশ্য ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগও তৈরি হয়েছিল একাধিকবার। তবে তা কাজে লাগাতে পারেনি রোনালদো, মানেরা।
Leave a Reply