সামরিক অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে পশ্চিম আফ্রিকান জোট নাইজারে হামলা চালাতে পারে। পশ্চিম আফ্রিকার প্রতিরক্ষা প্রধানরা ইতোমধ্যেই কখন ও কিভাবে সৈন্য মোতায়েন করা হবে, তা নিয়ে একটি পরিকল্পনাও তৈরী করে ফেলেছে।
দি ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইসিওডব্লিউএএস) সামরিক হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা ফাঁস করবে না। তবে সংস্থাটির রাজনৈতিক, শান্তি ও স্থিতিশীলতাবিষয়ক কমিশনার আবদেল-ফাতু মুসা শুক্রবার বলেছেন, ব্লকটির রাষ্ট্রপ্রধানরা সিদ্ধান্ত নেবেন।
মুসা নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজায় তিন দিনের এক সম্মেলনের পর বলেন, সামরিক হস্তক্ষেপ চালানোর জন্য যেসব সম্পদের প্রয়োজন, সব নিয়েই আলোচনা হয়েছে।
ইসিওডব্লিউএএস ইতোমধ্যেই নাইজারের ওপর অবরোধ আরোপ করেছে। তারা বলেছে, রোববারের মধ্যে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে না দেয়া হলে অভ্যুত্থানের নেতাদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করা হতে পারে।
সংস্থার ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার আলোচনার জন্য নাইজারে গিয়েছিল। কিন্তু বিমানবন্দরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কোনো ফলাফল আসেনি।
এদিকে নাইজারের সামরিক বাহিনী বাইরের হস্তক্ষেপ চালানোর হুমকির নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, এমন কিছু হলে তার বাহিনী প্রতিরোধ করবে।
উল্লেখ্য, অভ্যুত্থানের ৫৯ বছর বয়স্ক নেতা আবদুর রহমান চিয়ানি ২০০৩ সালে আইভরি কোস্টের সঙ্ঘাতে ইসিওডব্লিউএএস-এর ব্যাটালিয়ন কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
ফলে তিনি ইসিওডব্লিউএএস-এর সামরিক অবস্থান সম্পর্কে ভালোই ধারণা রাখেন।
এদিকে নাইজারের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে মালি ও বুরকিনা ফাসো। এই দুটি দেশও ইসিওডব্লিউএএস-এর সদস্য। ফলে সামরিক হস্তক্ষেপ খুব সহজ হচ্ছে না।
গত ২৬ জুলাই নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থান হয়।
নাইজারের সাথে সাতটি আফ্রিকান দেশের সীমান্ত রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে লিবিয়া, শাদ ও নাইজেরিয়া।
সামরিক অভ্যুত্থানের আগে নাইজার সরকারের সাথে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সসহ পাশ্চাত্যের দেশগুলোর উষ্ণ সম্পর্ক ছিল। অন্যদিকে সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতি সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে রাশিয়া ও চীন।
সূত্র : আল জাজিরা ও অন্যান্য
Leave a Reply