চলমান করোনাভাইসরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় প্রয়োজন অনুযায়ী কঠোর লকডাউন ঘোষণাসহ সাত দফা সুপারিশ করেছে বিএনপি। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই সুপারিশ তুলে ধরেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এই দফাগুলো হচ্ছে- প্রয়োজনে সারা দেশে/এলাকা ভিত্তিক কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা, চিকিৎসক নার্স স্বাস্থ্যকর্মী সাংবাদিক ও আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের পর্যাপ্ত মানসম্মত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, প্রত্যেক জেলায় করোনা শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা সেবা দ্রুত সম্প্রসারিত করা, অভাবগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে রেশন কার্ডের মাধ্যমে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা, গার্মেন্টস কর্মী ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষকে আর্থিক সুবিধা ও সুচিকিৎসা সেবা প্রদান এবং খাদ্য সহায়তা দেওয়া, সরকারি ত্রাণ ও অর্থ বিতরণে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া এবং আক্রান্ত ও মৃতের সঠিক সংখ্যা উপস্থাপন করা।
বিএনপির জাতীয় করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সেলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের কোনো হাসপাতালেই শুধু করোনা নয় অন্য রোগীরাও চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। চিকিৎসা করতে গেলে বলে আগে করোনার টেস্ট করে আসেন। আর করোনা টেস্ট করাতো সোনার হরিণের মতো। কিডনি, ডায়াবেটিস, ক্যানসারসহ জটিল রোগের চিকিৎসাও পাচ্ছে না মানুষ। এই হলো দেশের চিকিৎসা সেবা।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতায় করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিল চলছে। সরকারি হিসেবে দেশে মৃত্যু হাজার ছাড়িয়েছে, আক্রান্ত প্রায় লাখের কাছে। বেসরকারি বা অন্যান্য সূত্রে আক্রান্ত ও মৃত্যর সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি। একদিকে দেশজুড়ে চলছে শোকার্ত মানুষের আহাজারি আর অন্যদিকে চলছে করোনার ত্রাণ চুরির মহৌৎসব।’
বিএনপির পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত ৫১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬০টি পরিবারকে সহযোগিতা করা হয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল আরও বলেন, ‘এই সহযোগিতার আওতায় ২ কোটি ৭ লাখ ২৫ হাজার ৪৪০ জন মানুষ উপকৃত হয়েছে।’
Leave a Reply