1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বান্দরবানে কেএনএফ আস্তানায় সেনা অভিযান, একে৪৭-সহ বিপুল অস্ত্র উদ্ধার শ্রম খাত সংস্কারের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার হাসিনাকে বিবৃতি থেকে বিরত রাখতে ভারতকে আহ্বান জানানো হয়েছে : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাইডেন-ট্রাম্প বৈঠক, যেসব বিষয়ে আলোচনা হলো উপদেষ্টা নিয়োগ প্রসঙ্গে কী বললেন নুর বিদেশে আসিফ নজরুলকে হয়রানি : জেনেভার কাউন্সেলরকে প্রত্যাহার হাজী সেলিমের ছেলে সাবেক এমপি সোলাইমান সেলিম গ্রেফতার চায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের বাসায় বিএনপি নেতারা জাতীয় নির্বাচন কবে, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা আন্দোলনে আহতদের দেখতে হাসপাতালে বিএনপি নেতারা, ৫ লাখ টাকা অনুদান

অনাস্থা ভোটের মুখে মোদি সরকার

ইউএস বাংলাদেশ ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০২৩

ভারতের মণিপুর রাজ্যের ঘটনা নিয়ে সংসদে অনাস্থা ভোটের মুখে পড়তে যাচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। আজ বুধবার বিরোধী দল কংগ্রেসের এক আইনপ্রণেতা এই অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব দেন।

বিরোধী দলীয় নেতারা বলছেন, মণিপুর নিয়ে মোদিকে কথা বলতেই হবে। ওই রাজ্যে চলা জাতিগত সহিংসতা নিয়ে সংসদে যেন প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন সেটা নিয়েই দাবি জানিয়ে আসছেন তারা।

দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় বলেছিলেন, সরকার মণিপুরে চলমান সহিংসতা নিয়ে কথা বলার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু বিরোধী দলই তাদের থামিয়ে দিচ্ছে।

চলতি বছর মে মাস থেকে মণিপুর রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতি গোষ্ঠী ও আদিবাসী কুকি গোষ্ঠীর মধ্যে জাতিগত সংঘাত শুরু হয়। একটা সময় সহিংসতা ভয়াবহ রূপ নেয়। এখন পর্যন্ত এই সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে ১৩০ জন। সর্বশেষ গত সপ্তাহে দুই আদিবাসী নারীকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ভিডিও ভাইরাল হলে পুরো দেশে ক্ষোভ জন্ম দেয়। আলোচনা শুরু হয় বিশ্ব অঙ্গনেও।

এরপর প্রথমবারের মতো নীরবতা ভাঙেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, এই ঘটনা ‘ভারতকে লজ্জায় ডুবিয়েছে’। হামলাকারীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে।

২০১৪ সাল থেকে ক্ষমতায় আসার পর এটা মোদি সরকারের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় অনাস্থা ভোট। এর আগে ২০১৮ সালে কোনও রাজ্যকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া বিষয়টি নিয়ে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব উঠেছিল। প্রায় ১২ ঘণ্টা বিতর্কের পর সেই প্রস্তাব নাকচ হয়। লোকসভায় অন্তত ৫০ জন আইনপ্রণেতার সমর্থন ছাড়া অনাস্থা ভোটের আয়োজন করা যায় না।

প্রস্তাব পাস হলে ১০ দিনের মধ্যে অনাস্থা ভোট আয়োজনের তারিখ ঘোষণা করবেন স্পিকার। সরকার যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয় তবে তাদের পদত্যাগ করতে হবে।

বুধবার কংগ্রেস পার্টি ও ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতির এমপিরা অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব দেয়। স্পিকার ওম বিরলা বলেন, তিনি সব নেতা ও দলের সঙ্গে কথা বলে ভোটের তারিখ ঘোষণা করবেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মোদির বিজেপির এই ভোটে হারার সম্ভাবনা কম। ৫৪৩ সদস্যের লোকসভায় বিজেপির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। তবে সরকারের নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে কথা বলতে হবে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে।

বিরোধী দলীয় এমপি মনোজ কে ঝা বলেন, আমরা জানি যে সংখ্যা আমাদের পক্ষে নেই। তবে বিষয়টা সংখ্যার নয়। আমরা চাই এই ইস্যু নিয়ে সরকার কথা বলুক। কংগ্রেস নেতা মানিকাম ঠাকুর বলেন, ‘বিরোধী দল শেষ অস্ত্র হিসেবে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব দিতে বাধ্য হয়েছেন।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com