ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি শনিবার ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গের সাথে ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ পুনরুদ্ধারের উপায় সম্পর্কে কথা বলেছেন।
জাতিসঙ্ঘের মধ্যস্থতায় করা ওই চুক্তির মেয়াদ সোমবার শেষ হয়েছে। ওই চুক্তি এতদিন ইউক্রেনীয় বন্দরগুলো থেকে কৃষ্ণ সাগর করিডোর দিয়ে শস্য এবং অন্যান্য কৃষি পণ্য পরিবহনকারী জাহাজগুলোকে নিরাপদে পৌঁছানোর নিশ্চয়তা দিয়েছিল।
জেলেন্সকি বলেন, তিনি এবং স্টলটেনবার্গ ‘কৃষ্ণ সাগরের শস্য করিডোর অবরোধমুক্ত করা এবং টেকসই কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয় অগ্রাধিকার এবং ভবিষ্যতের পদক্ষেপগুলো নির্ধারণ করেছেন।
জেলেন্সকি শুক্রবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগানের সাথেও শস্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
জেলেন্সকি বলেন, আমরা ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভের অপারেশন পুনরায় চালু করার প্রচেষ্টাকে সমন্বিত করেছি। রাশিয়ার পদক্ষেপের কারণে, বিশ্ব আবারো খাদ্য সঙ্কটের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। আফ্রিকা ও এশিয়ার অনেক দেশে প্রায় ৪০ কোটি মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে রয়েছে।
শস্য চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে, মস্কো কৃষ্ণ সাগরের বিশাল এলাকাকে জাহাজ চলাচলের জন্য বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করেছে এবং ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনীয় বন্দরকে লক্ষ্যবস্তু করে, ইতোমধ্যে ৬০ হাজার টন শস্য ধ্বংস করে ফেলেছে।
মস্কো সতর্ক করেছে যে তারা ধরেই নেবে যে কৃষ্ণ সাগরের কিছু অংশ দিয়ে অতিক্রমকারী জাহাজগুলো ইউক্রেনে অস্ত্র বহন করবে। পাল্টা ইউক্রেনও একই কথা বলেছে, কৃষ্ণ সাগর দিয়ে রাশিয়ার বন্দর অভিমুখী জাহাজগুলোকে ‘সব রকম ঝুঁকিসহ সামরিক পণ্যবাহী’ জাহাজ হিসাবে বিবেচনা করা হবে।
Leave a Reply