কয়েক দিন থেকেই বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে উচ্চ তাপপ্রবাহের খবর আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসছে কয়েক দিনে এই তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দেশে দেশে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সামনের দিনগুলোয় জনজীবন কীভাবে সচল থাকবে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিজ্ঞানী মহল।
যুক্তরাজ্যের রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হাননাহ ক্লোক বলেছেন, পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে সব কিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। আসলে কী হচ্ছে তা বিবেচনা করে একেবারে সঠিক পদক্ষেপটি আমাদের নিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক এই বিশেষজ্ঞ মনে করেন, বাস্তব জীবনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মারাত্মক বলে মনে হচ্ছে। তিনি মনে করেন, গত গ্রীষ্মে গরমের কারণে ৬১ হাজার লোক মারা গেছেন। এবার পরিস্থিতিও বাজে… গরম এখন প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত হতাশাজনক যে, আপনি যতই চিৎকার করে বলুন যে পরিস্থিতি বাজে দিকে যাচ্ছে… আদতে কেউ শুনছে না।
এদিকে গতকাল চীন তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড প্রত্যক্ষ করেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, গত রবিবার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫২ দশমিক ২ ডিগ্রি সে. রেকর্ড করা হয়েছে। মাত্র ছয় মাসে মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সে. আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করা চীনকে এখন উচ্চ তাপমাত্রা সহ্য করতে হচ্ছে। এর আগে ২০১৫ সালে চীনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। প্রতিবেশী দেশ জাপানে তাপপ্রবাহের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে ইউরোপের দেশ ইতালি, স্পেন, গ্রিস তাপপ্রবাহে নাকাল হয়ে পড়েছে। ইতালির ১৬ শহরে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এক-তৃতীয়াংশ নাগরিক অসহনীয় তাপমাত্রা মোকাবিল করছেন। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক তেদ্রোস আধানোম গেব্রিয়াসুস বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি ‘এখনই পদক্ষেপ’ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল টুইটারে তিনি এ আহ্বান জানান। টুইটে তিনি বলেন, তাপপ্রবাহ আমাদের স্বাস্থ্য ও জীবনের জন্য ঝুঁকি… এটি এখন আর সতর্কবার্তা নয়, এটি ইতোমধ্যে আমাদের গ্রাস করেছে।
Leave a Reply