ভারতে এক দিনে আরো ৯ শতাধিক ব্যক্তির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এক দিনের হিসাবে এটিই এখন পর্যন্ত দেশটিতে সর্বোচ্চ আক্রান্তের ঘটনা।
বৃহস্পতিবার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ৩০৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ২৫৪ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২ লাখ ১৬ হাজার ৯১৯ জনে এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৭৫ জনের।
তবে ভারতে করোনাভাইরাস থেকে পুনরুদ্ধারের হারও যথেষ্ট সন্তোষজনক। ওই মারণ রোগের সাথে লড়াই করে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন বহু রোগী। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এই পুনরুদ্ধারের হার বেড়ে ৪৭.৯৯ শতাংশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট ১ লাখ ৪ হাজার ১০৭ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন।
ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক করোনা রোগী রয়েছে মহারাষ্ট্রে। বুধবার ওই রাজ্যে একদিনের মধ্যে সর্বাধিক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে মারা গেছেন ১২২ জন। এর ফলে ওই রাজ্যে মোট করোনা রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হলো ২ হাজার ৫৮৭ জন। উদ্ধব ঠাকরের রাজ্যে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ পজিটিভের মোট সংখ্যা ৭৪ হাজার ৮৬০-এ এসে দাঁড়িয়েছে। বুধবার মহারাষ্ট্রে নতুন করে আরো ২ হাজার ৫৬০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ঘটেছে। এর মধ্যে শুধু মুম্বাইতেই নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৭৬ জন।
মহারাষ্ট্রের পরেই করোনা সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। ওই রাজ্যে এই নিয়ে পরপর ৪ দিন দৈনিক ১ হাজারেরও বেশি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে মারণ রোগটি। দক্ষিণের রাজ্যটিতে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার পেরিয়ে গেছে।
এদিকে দেশটির রাজধানী দিল্লিও ভুগছে করোনা আতঙ্কে। সেখানে মোট ২৩ হাজার ৬৪৫ জন ওই মারণ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটির মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা রোগী এখন দিল্লিতেই।
আসামেও দ্রুত হারে বাড়ছে সংক্রমণ। গত একদিনের মধ্যে সেখানে নতুন করে ২৬৯ জন নতুন করোনা রোগী ধরা পড়েছে। ওই রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্ত ১ হাজার ৮৩০ জন। রাজ্য সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, আসামের ৯০ শতাংশেরও বেশি রোগীর শরীরে করোনা সংক্রমণের কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না, যা আরো আশঙ্কার।
সূত্র : এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া
Leave a Reply