এবার ঈদে টানা পাঁচ দিন সরকারি ছুটি থাকবে বেনাপোল বন্দরে। এ সময় বাজার স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে এ বন্দর দিয়ে প্রায় আড়াই হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আর সরবরাহ বাড়ায় খোলা বাজারে দাম কমে প্রতি কেজি ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নাসির উদ্দীন নামে এক ক্রেতা জানান, আমদানি বাড়ায় দেশে পেঁয়াজের সিন্ডিকেট ভেঙেছে। ১০০ টাকার পেঁয়াজ এখন ৩৫ টাকায় কিনতে পারছি।
খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা রাকেশ জানান, ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজের চাহিদা না থাকায় সরবরাহ নেই।
পেঁয়াজ আমদানিকারক মনির হোসেন জানান, ঈদে পাঁচ দিন আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তাই চাহিদা থাকায় বন্ধের আগে আমদানি বেড়েছে। পেঁয়াজের বাজার সামনের সপ্তাহে আরও কমে আসবে।
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, দীর্ঘ আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর গত ৪ জুন হতে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি চালু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রায় আড়াই হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত
পেঁয়াজ খালাস নিতে পারেন এ জন্য বন্দরের কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টা সচল রাখা হয়েছে।
জানা যায়, দেশে প্রতিবছর পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে ৩৫ থেকে ৩৬ লাখ টন। দেশে উৎপাদন হয় বছরে ৩২ লাখ টন। বাকি অংশ বছরে ৯ মাস আমদানি করে চাহিদা মেটাতে হয়। আর এ পেঁয়াজের বড় একটি অংশ আসে ভারত থেকে। বর্তমানে প্রতি টন পেঁয়াজ ১২০ ডলার মূল্যে ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে, যা বাংলাদেশি অর্থে পড়ছে ১২ হাজার ৯৮০ টাকা। আর কেজিতে ৩ টাকা ৫৫ পয়সা শুল্ককর পরিশোধ করে পেঁয়াজের চালান ছাড় হচ্ছে। বন্দর থেকে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি পাইকারি দরে ক্রেতারা কিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করছেন।
এদিকে আমদানি বৃদ্ধিতে সিন্ডিকেট ভেঙে দুই সপ্তাহ আগের ১০০ টাকা কেজির পেঁয়াজ এখন খোলাবাজারে ৩৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন নিম্নআয়ের মানুষ।
Leave a Reply