ইউক্রেনের খেরসনে বাঁধ ভেঙে কয়েকহাজার মানুষ গৃহহীন। কিন্তু রাশিয়া তাদের কাছে ত্রান নিয়ে পৌঁছাতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে জাতিসঙ্ঘ।
কিছুদিন আগে খেরসনের কাখোভকা বাঁধে বিস্ফোরণ হয়েছে। যার ফলে বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা হয়েছে। এতে ইউক্রেনের বহু মানুষ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, একইভাবে রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের বহু এলাকা পানির নিচে চলে গেছে।
রোববার জাতিসঙ্ঘ অভিযোগ করেছে, ওই অঞ্চলগুলোতে তারা ত্রাণ পাঠানোর চেষ্টা করলেও রাশিয়ার প্রশাসন সেখানে তাদের ঢুকতে দিচ্ছে না।
জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার-সংক্রান্ত বিষয়ের কর্মকর্তা ডেনিস ব্রাউন জানিয়েছেন, ‘আমরা একাধিকবার এ বিষয়ে রাশিয়ার প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। কিন্তু তারা ওই অঞ্চলে আমাদের ঢুকতে বাধা দিচ্ছে। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাব। কারণ ওই অঞ্চলের মানুষের ত্রাণ ও সাহায্যের প্রয়োজন।’
ডেনিসের অভিযোগ, রাশিয়া আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিক সংগঠনকে বন্যাদুর্গত অঞ্চলে ঢুকতে দিতে বাধ্য তারা।
খেরসন অঞ্চলে রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে নাইপার নদীর ওপর বাঁধ দেয়া হয়েছিল। বাঁধটি ভেঙে যাওয়ার ফলে নদীর দুই পারই ভেসে গেছে।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আইহোর ক্লাইমেনকো জানিয়েছেন, ইউক্রেনের দিকে যে অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেখানে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বন্যায়। ৩১ জন এখনো নিখোঁজ। প্রায় ৯০০ বাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। এখন পর্যন্ত রাশিয়ার আক্রমণ বাঁচিয়ে তিন হাজার ৬০০ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নেয়া সম্ভব হয়েছে।
রাশিয়ার দখলে থাকা অঞ্চলের প্রশাসক আন্দ্রেই আলেকসেয়েঙ্কো জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা ২৯-এ পৌঁছেছে। কিন্তু কেন জাতিসঙ্ঘকে এলাকায় ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না, এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
রাশিয়া এবং ইউক্রেন দু’পক্ষই বাঁধ ভাঙার জন্য একে অপরকে দায়ী করছে। তবে জাতিসঙ্ঘের বক্তব্য, সম্ভবত রাশিয়াই ওই বাঁধের কাছে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
জেলেনস্কির দাবি
রোববার রাতে দৈনিক ভিডিওবার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ফ্রন্টলাইনে তারা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দখল করেছেন। আভদিভকা শহর ইউক্রেনের সেনার হাতে এসেছে। কৌশলগতভাবে ওই শহরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যুদ্ধের একেবারে গোড়ার দিকে শহরটি রাশিয়া দখল করেছিল।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
Leave a Reply