1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪২ অপরাহ্ন

শায়েস্তাগঞ্জের বাজার মাতাবে ২৯ মণ ওজনের কালো মানিক

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৮ জুন, ২০২৩

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নূরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নসরতপুর গ্রামে হাজী আব্দুর রহমান কালা মিয়ার খামারে আসন্ন কুরবানীর ঈদ উপলক্ষে বিক্রির জন্য বিশালাকৃতির একটি ষাঁড় গরু তৈরি করা হয়েছে। বিশাল আকৃতির ষাঁড়টির ওজন প্রায় সাড়ে ২৯ মণ। এবার শায়েস্তাগঞ্জ গরুর বাজার মাতাবে বিশালাকৃতির বড় কালো মানিক।

খামারি পরিবারের সদস্যদের স্নেহ মমতায় ওই ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে বড় কালো মানিক। বড় কালো মানিক নামটি রাখার পিছনে কারণ হলো, একই খামারে আরো একটি ছোট কালো মানিক ষাঁড় রয়েছে। যে কারণে ওই ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে বড় কালো মানিক। ওই ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য ৭৭ ইঞ্চি ও প্রস্থ ১০০ ইঞ্চি যার ওজন সাড়ে ২৯ মণ।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ওই ষাঁড়টির মালিক মরহুম হাজী আব্দুর রহমান কালা মিয়া গত দেড় মাস আগে মারা যান তখন ষাঁড়টির বয়স ছিল চার বছর। ফিজিয়ান জাতের ওই ষাঁড়টি তার নিজের খামারের গাভীর দেয়া একটি বাচ্চা থেকে লালন পালন করে আসছিলেন। এখন এটির নাম রাখা হয়েছে বড় কালো মানিক।

এ ব্যাপারে খামারের মালিক মরহুম হাজী আব্দুর রহমান কালা মিয়ার ছেলের বউ পারুল বেগম জানান, তার শ্বশুর মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি নিজেই খামারটির দায়িত্ব নেন। তার খামারে চারজন শ্রমিক দিনরাত কাজ করছে।

তিনি আরো জানান, গত কয়েক মাস আগে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় একটি পশু মেলা হয়েছিল। কিন্তু ওই মেলায় আমার বড় কালো মানিককে নেয়া সম্ভব হয়নি। যে কারণে বড় কালো মানিকের সন্ধান প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানেন না। ওই খামারের মাধ্যমে তাদের পরিবার লাভবান বলেও জানান তিনি। তার খামারে ৪৫টি ছোট বড় সাইজের গবাদিপশু রয়েছে। এর মধ্যে দুধের গাভী ২৮টি, ষাঁড় দুটি ও মাজারি সাইজের বাছুর ১৫টি। তবে সবার নজর কেঁড়েছে এই খামারের বড় কালো মানিক। দেখতে বিশাল আকৃতির ও অত্যন্ত শান্ত প্রকৃতির এই বড় কালো মানিকের সন্ধান এর আগে তেমন কেউ জানেননি।

স্থানীয়রা জানান, ওই বড় কালো মানিক শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় সবচেয়ে বড় ষাঁড় হবে বলে তাদের ধারণা। প্রতিদিন বিশাল আকৃতির বড় কালো মানিককে এক নজর দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকার লোকজন তাদের বাড়িতে এসে ভিড় জমান। এদের মধ্যে অনেক ক্রেতাও রয়েছেন।

এ ব্যাপারে খামারের শ্রমিক হেলাল মিয়া জানান, প্রতিদিন সকালে তিনি বড় কালো মানিককে দুই কেজি গমের ভুষি, দুই কেজি মসুর ডালের ভুষি, এক কেজি ধানের কুড়া, তিন কেজি ফিড, এক কেজি খৈল, ১০ কেজি ধানের খড়, ও ৩০ কেজি কাঁচা ঘাস খাওয়াচ্ছেন। বিকেলে ও একইভাবে খাবার খাওয়াচ্ছেন। কালো মানিকের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য দিনে তিন থেকে চার বার গোসল করানো হয়। এভাবে প্রতিদিন তিনি ১৫০০ টাকার খাদ্য খাওয়াচ্ছেন। তিনি কোনো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ছাড়াই ষাঁড়টিকে লালন পালন করে আসছেন।

এ ব্যাপারে খামারের মালিকের ভাতিজা শামীম মিয়া জানান, ওই ষাঁড়টি তাদের পরিবারের সকলের অত্যন্ত প্রিয় ও সৌন্দর্যের প্রতীক। তাই তারা আদর করে নাম দিয়েছেন কালো মানিক। গত বছর ওই ষাঁড়টির মূল্য সাড়ে ১০ লাখ টাকা দাম হলেও তারা এতে সাড়া দেননি। ওই ষাঁড়টি লালন পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো পশু চিকিৎসকেরও প্রয়োজন পড়েনি বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের (দায়িত্বরত) কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাজিম উদ্দিন বলেন, ওই খামারে এত বড় ষাঁড় রয়েছে তার সন্ধান আগে আমরা পাইনি। এখন যেহেতু সন্ধান পেয়েছি তাদেরকে অবশ্যই প্রাণিসম্পদ অফিসে এসে খামারের রেজিস্ট্রেশন করার পরামর্শ দেব। রেজিস্ট্রেশন করলে অফিস থেকে তাদেরকে উন্নত সেবা ও পরামর্শ দেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com