পাকিস্তানে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বর্ষণে অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৪৫ জন। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তান টুডে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খাইবার পাখতুনখাওয়া এবং পাঞ্জাব প্রদেশের বিভিন্ন জেলায় মুষলধারে বৃষ্টিতে ঘরবাড়ি ধসে পড়ার পর এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। খাইবার পাখতুন প্রদেশের বান্নু, লাক্কি মারওয়াত ও কারাক জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। উদ্ধারকর্মীরা আহতদের চিকিৎসা দিচ্ছেন।
খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রদেশের চারটি জেলায় এসব নিহতের খবর পাওয়া গেছে। ৬৯টি বাড়ি আংশিক ধ্বংস হয়েছে। এ ছাড়া উপড়েপড়া গাছ বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিশন টাওয়ারে ভেঙে পড়াসহ বৃষ্টি সংক্রান্ত নানা ঘটনায় আরও ১৪৫ জন আহত হয়েছেন।
দুর্যোগে প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি কর্তৃপক্ষকে দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে আরব সাগর থেকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ মোকাবিলার জন্য কর্মকর্তাদের জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ।
পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এজেন্সি জানিয়েছে, ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার (ঘণ্টায় ৯৩ মাইল) বেগে বাতাসের গতিবেগসহ ‘গুরুতর এবং তীব্র’ এই ঘূর্ণিঝড়টি দেশটির দক্ষিণ দিকে এগিয়ে আসছে।
এর আগে, গত মাসে পাকিস্তানে গিলগিট-বালতিস্তানের আস্তোর জেলায় হঠাৎ তুষারধসের ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়। এতে আহত হয়েছিল আরও ২৬ জন।
Leave a Reply