সুদানের যুদ্ধরত সামরিক দলগুলো মঙ্গলবার দেশটির রাজধানীতে আকাশ পথে এবং স্থলপথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ক্রমবর্ধমান সহিংসতা এবং অরাজকতা ইতোমধ্যে সীমিত খাদ্য ও ওষুধ নিয়ে সংগ্রামরত বাসিন্দাদের দুর্দশা বাড়িয়ে তুলেছে।
সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যে আট সপ্তাহ ধরে চলতে থাকা লড়াইয়ে শত শত বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। ৪ লাখ মানুষকে সীমান্ত পেরিয়ে যেতে হয়েছে। এই যুদ্ধ প্রায় ১২ লাখেরও বেশি মানুষকে রাজধানী ও অন্যান্য শহর থেকে বের করে দিয়েছে।
মানবিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সৌদি আরব এবং যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতায় যথার্থ নজরদারি ছাড়াই যুদ্ধবিরতি চললেও গত সপ্তাহে তা ভেস্তে যায়। এরপর প্রতিনিধিরা জেদ্দায় অবস্থান করলেও সরাসরি কোনো আলোচনার ঘোষণা দেয়া হয়নি।
এই লড়াইয়ে রাজধানীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যেখানে অবশিষ্ট বাসিন্দারা যুদ্ধ, বিমান হামলা এবং লুটপাটের আশঙ্কায় রয়েছে।
সাঁজোয়া বাহিনী এবং বিমানের হামলা সারা রাত অব্যাহত থাকে। দক্ষিণ ও পূর্ব খার্তুম এবং উত্তর বাহরির বাসিন্দারা মঙ্গলবার সকালে সাঁজোয়া অস্ত্র-শস্ত্র এবং বন্দুকযুদ্ধের শব্দ শুনতে পান।
৪৫ বছর বয়সী জওয়াহির মোহাম্মদ বলেন, আমাদের এলাকা যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। চারপাশে প্রচণ্ড সংঘর্ষ চলছে এবং আঘাত হানা হচেছ কারণ আমাদের বাড়ি ইঞ্জিনিয়ার্স কোরের পাশেই। আমরা মরতেও ভয় পাচ্ছি, আবার বাড়ি থেকে বের হলে সব চুরি হয়ে যাবে সেই ভয়ও আছে।
বিদ্যুৎ ও পানির ঘাটতির পাশাপাশি দোকান এবং ফার্মেসিগুলো ইতোমধ্যেই সরবরাহের অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হয়েছে। ত্রাণ গোষ্ঠীগুলো খার্তুমের বাসিন্দাদের ব্যাপক সহায়তা প্রদানের জন্য লড়াই করছে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
Leave a Reply