কসোভো সরকারের পদক্ষেপ যা এই সপ্তাহে সার্বিয়ার সাথে উত্তেজনা পুনরুজ্জীবিত করেছে তা কসোভো এবং তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার- যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের ফাটল ধরিয়ে দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কূটনীতিকরা বলেছেন, ওয়াশিংটন দীর্ঘদিন ধরে কসোভো সরকারের প্রতি এতটা অসন্তুষ্ট ছিল না। তারা যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিকের একটি বিবৃতির দিকে ইঙ্গিত করেছে।
এপ্রিলে উত্তর কসোভোর চারটি পৌরসভার নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে বর্তমান উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
কসোভো কর্তৃপক্ষ দেশটির উত্তরের কার্যালয়ে জাতিগোষ্ঠীগত আলবেনিয়ান মেয়রদের বসানোর পর সোমবার সহিংসতা শুরু হয়। সেখানকার জনসংখ্যার বেশিরভাগই সার্বিয়ান। সার্বরা এখনো বেলগ্রেডের সাথে পুনরায় একত্রিত হতে চায়। তারা ভোট বর্জন করার পরে মেয়ররা ৩ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র এবং বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় সরকার উত্তেজনা প্রশমন করতে কসোভোর সব পক্ষের কাছে কয়েকবার আবেদন করেছে এবং কসোভো ও সার্বিয়ার প্রেসিডেন্টরা বৃহস্পতিবার সঙ্কট সমাধানের জন্য আলোচনা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যের সাথে একটি যৌথ বিবৃতিও জারি করেছে যেখানে তারা কসোভো কর্তৃপক্ষের নিন্দা করেছে।
কসোভো ২০০৮ সালে সার্বিয়া থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। বেলগ্রেড এখনো কসোভোকে স্বীকৃতি দেয়নি। কসোভো মূলত মুসলিম আলবেনিয়ানদের দ্বারা গঠিত দেশ। সার্বিয়ায় বেশিরভাগই খ্রিস্টান অর্থোডস্ক।
ন্যাটোতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত কার্ট ভলকার বলেছেন, ডিফেন্ডার ইউরোপ যৌথ সামরিক মহড়ায় দেশটির অংশগ্রহণ বাতিল করে ওয়াশিংটন কসোভোর সাথে তার অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা
Leave a Reply