আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মেট্রোরেলের যাত্রীসেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে। এর আগে মেট্রোরেলের যাত্রীসেবার বিপরীতে ১৫ শতাংশ হারে মূসক কেটে অবহিত করতে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডকে চিঠি দিয়েছিলেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা (দক্ষিণ)-এর কমিশনার শওকত আলী সাদী।
চিঠির জবাবে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট জানায়, বিভিন্ন দেশের মেট্রোরেল পরিচালনার অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, শুধু ভাড়ার আয় দিয়ে লাভজনকভাবে মেট্রোরেল পরিচালনা করা যায় না। ভর্তুকির মাধ্যমে মেট্রোরেলের পরিচালন ব্যয় নির্বাহ করা হয়। এ প্রেক্ষাপটে এমআরটি লাইন ৬-এর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এক হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদানের জন্য অর্থ বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে। রাজধানীর যানজটে বার্ষিক প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। এমআরটি নেটওয়ার্ক চালু হলে এই অর্থের সাশ্রয় হবে। মেট্রোরেলের যাত্রীদের শ্রেণিবিন্যাস না থাকায় এর ওপর কোনো মূসক প্রযোজ্য নয়। অথচ এনবিআরের আইনে এসি ও নন-এসি রেলওয়ে সার্ভিসের ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রযোজ্য রয়েছে। যদিও মেট্রোরেল সম্পূর্ণ এসি নিয়ন্ত্রিত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, মেট্রোরেল যেহেতু সরাসরি সাধারণ মানুষের সেবায় নিয়োজিত একটি প্রতিষ্ঠান এবং অলাভজনক; তাই এর ওপর ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে।
Leave a Reply