1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৪ অপরাহ্ন

সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে কমেছে রেমিট্যান্স আসা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৯ মে, ২০২৩

একক মাস হিসেবে বিশ্বের যে দুটি দেশ থেকে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে ওই দুটি দেশ হলো সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র। এ দুটি দেশ থেকেই রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাচ্ছে। গত তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) আগের তিন মাসের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) তুলনায় শীর্ষ এই দু‘দেশ থেকেই রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে। সর্বশেষ প্রান্তিকে আগের প্রান্তিকের তুলনায় সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে কমেছে ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। রেমিট্যান্স ও বাংলাদেশী শ্রমিক নিয়ে সর্বশেষ প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতি তিন মাস অন্তর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, একক দেশ হিসেবে গত ত্রৈমাসিকে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র ও আরব আমিরাত থেকে। সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে তিন মাসে রেমিট্যান্স এসেছে মোট রেমিট্যান্সের ১৫ দশমিক ৪১ শতাংশ। এর পরেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে মোট রেমিট্যান্সের ১৫.০৬ শতাংশ। আর আরব আমিরাত থেকে এসেছে ১৬.৬৫ শতাংশ।

এ তিনটি দেশের মধ্যে দুটি দেশ থেকেই কয়েক মাস যাবত ধারাবাহিকভাবে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, গত বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৫ কোটি ডলার। এপ্রিল-জানুয়ারি প্রান্তিকে এসেছে ১০৫ কোটি ডলার, জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে এসেছিল ১০০ কোটি ডলারের কিছু কম, অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে তার আরো কমে হয় ৯১ কোটি ডলার। জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে তা আরো কমে হয় ৮৫ কোটি ডলারে। আলোচ্য পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, সৌদি আরব থেকে চার প্রান্তিক জুড়ে ধারাবাহিকভাবে কমে যাচ্ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। শুধু গত বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকের চেয়ে চলতি জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে দেশটি থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে প্রায় ১৯ শতাংশ।

একইভাবে যুক্তরাষ্ট্র থেকেও ধারাবাহিকভাবে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাচ্ছে। গত বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স এসেছিল প্রায় ১০০ কোটি ডলার, পরের তিন মাসে অর্থাৎ অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে রেমিট্যান্স এসেছিল ৯৬ কোটি ডলার এবং সর্বশেষ জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৮৩ কোটি মার্কিন ডলার।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সবমিলেই আমাদের শ্রমিকের সবচেয়ে বড় বাজার মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফলে এর সামগ্রিক প্রভাব পড়েছে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহের ওপর। ঈদের মাস সত্ত্বেও গত এপ্রিলে দেশের সামগ্রিক রেমিট্যান্স কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রায় এক কোটি শ্রমিক আছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এর মধ্যে মধ্য প্রাচ্যেই আছে দুই তৃতীয়াংশ। কিন্তু দক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা অনেক কম। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, বিদেশে কর্মরত দেশের মোট শ্রমিকের প্রায় ৭৪ শতাংশই অদক্ষ শ্রমিক। আর দক্ষ শ্রমিকের হলো মাত্র ২০.৬৬ শতাংশ। আধা দক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা মাত্র তিন শতাংশ। চলমান ডলার সঙ্কট মোকাবেলায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম প্রধান খাত রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর বিকল্প নেই। আর এ রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে হলে দক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এজন্য বিদেশে চাহিদা সম্পন্ন খাতের উপযোগী করে গড়ে তুলতে নানা প্রশিক্ষণের আয়োজন করতে হবে। পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন নতুন শ্রমের বাজার সৃষ্টি করতে হবে। এজন্য কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com