1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩১ অপরাহ্ন

সরকার নির্ধারিত দামে মিলছে না চিনি

এনবিডি নিউজ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৩ মে, ২০২৩

মিল থেকে চিনির সরবরাহ কমিয়ে রাজধানী ও চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে। ফলে বাজারের সব দোকানে মিলছে না চিনি। এ ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে খোলা চিনি ১২০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও সেই দরে পাওয়া যাচ্ছে না। বরং যে কয়েকটি দোকানে পাওয়া যাচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। এ ছাড়া বিভিন্ন অজুহাতে দাম বাড়িয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি আদার দাম ৩৬০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দরে। এতে নাকাল হচ্ছেন ভোক্তারা। শুক্রবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি খুচরা বাজার ও চট্টগ্রাম চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিন রাজধানীর নয়াবাজারে মাত্র ৪ দোকানে খোলা চিনি বিক্রি করতে দেখা গেছে। দাম প্রতি কেজি ১৪০ টাকা। তবে বৃহস্পতিবার সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম ১২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া কাওরান বাজারে গিয়ে চিনির সংকট দেখা যায়। সেখানেও চিনি বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১৩৫-১৪০ টাকা। কাওরান বাজারের মুদি বিক্রেতা মো. শাহ আমানত আলী বলেন, মিল মালিকরা সরকারের সঙ্গে বৈঠক করে চিনির দাম বাড়িয়ে খুচরা পর্যায়ে ১২০ টাকা নির্ধারণ করলেও তারা চিনি সরবরাহ করছেন না। বাজারে এক ধরনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে রেখেছেন।

এ ছাড়া দেশের বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে চিনির দামে অস্থিরতা কাটছে না। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ ভোগ্যপণ্য। বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে ১৫-২০ টাকা বেশি বিক্রি হচ্ছে। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে মিলগুলো চিনির সরবরাহ একেবারেই কমিয়ে দিয়েছে। পর্যাপ্ত পরিশোধিত চিনি আমদানি সত্ত্বেও শুধু এ কারসাজিতে বাজার থেকে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা চলছে। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি চিনি ১২৪-১২৫ টাকায় বিক্রি হলেও খুচরা পর্যায়ে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে ব্যবসায়ীরা জানান, এখানে চিনির বাজার কয়েকটি সিন্ডিকেট জিম্মি করে রেখেছে। কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে তারা।

এদিকে কোনো কারণ ছাড়াই বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। নয়াবাজারের বিক্রেতা মো. ইকরামুল বলেন, পাইকারি বাজারে দফায় দফায় দাম বাড়াচ্ছে। যে কারণে আমরা বাড়তি দরে পেঁয়াজ কিনে বাড়তি দরে বিক্রি করছি।

খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। তাই এখন পুরোপুরি দেশি পেঁয়াজের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। চাহিদা মেটাতে পাবনা, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী ও ফরিদপুর থেকে পেঁয়াজ আনা হচ্ছে। ফলে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।

অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি আদা কেজিতে ১১০ টাকা বেড়ে শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ৩৫০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ২৪০ টাকা ছিল। আর আমদানি করা আদা বিক্রি হয়েছে ৩৬০ টাকায়, যা আগে ২৮০-৩০০ টাকা ছিল। এ ছাড়া প্রতি কেজি পটোল বিক্রি হচ্ছে ৮০, ঢেঁড়স ৬০, বেগুন ৮০, ঝিঙ্গা ৮০, বরবটি ৮০, কাঁকরোল ১০০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, পেঁপে ৮০, করলা ১০০, টমেটো ৪০, মুলা ৬০ এবং শসা ৬০ টাকায়। এ ছাড়া কুমড়া প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, গাজরের কেজি ১০০, কচুর লতি ১০০, লাউ প্রতি পিস ৮০ টাকা, প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ২৫০ টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com