কারাগার প্রতিষ্ঠার সময় একে সংশোধনাগার হিসেবে দাঁড় করানোর প্রয়াস ছিল। সে লক্ষ্য মাথায় রেখে কোড অব কন্ডাক্ট তৈরি করা হয়। অপরাধীদের সংশোধন করার জন্য মাত্রানুযায়ী বিভিন্ন মেয়াদে কারাগারে রেখে, কিছু শাস্তির ব্যবস্থাও রাখা হয়। সে কারণে কারাগারে থাকা, খাওয়া, ঘুমানো, চলাচলের সুবিধাগুলো সীমিত করা হয়েছিল। কি ধরনের অপরাধীর বেলায় কিভাবে তা প্রযোজ্য হবে, তার একটি সুস্পষ্ট লিখিত নিয়ম তৈরি করা হয়েছিল, যাকে বলা হয় জেল কোড বা কারাবিধি।
ফাঁসির আসামি অর্থাৎ সর্বোচ্চ সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে রাখার জন্য ছয় থেকে আট ফুটের ছোট ছোট যেসব কক্ষ রয়েছে তাকে জেলের ভাষায় কন্ডেমড সেল বলা হয়। ফাঁসির আসামিকে এসব সেলে একাকী, নির্জন কারাবাসে রাখা হয়। যেখানে নেই কোনো জানালা, এমনকি দরজাও। বদ্ধ কোটরের ওপরের দিকে পাখির বাসার মতো লোহার রডের একটি ভ্যান্টিলেটর আছে, সেটিই আলো-বাতাস পৌঁছানোর একমাত্র মাধ্যম। এটি গলে যতটুকু আলো-বাতাস আসতে পারে, তাতে কোনো রকমে নিঃশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকা যায়, চোখে স্পষ্ট কিছু দেখা যায় না। দিন-রাত বিদ্যুতের আলো জ্বালিয়ে রাখতে হয়। দেয়ালগুলো স্যাঁতস্যাঁতে, জায়গায় জায়গায় নোনাধরা। নিয়মিত পরিষ্কার না করায় দমবন্ধ হয়ে আসা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে থাকে ঘরময়। অন্যদিকে মশা, মাছি, তেলাপোকা, চেল্লা ও হরেক রকমের পোকামাকড়ের যন্ত্রণায় তটস্থ থাকতে হয় সারাক্ষণ। এ যেন জেলের ভেতরে আরেক জেল। যেন হিটলারের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প অথবা গোয়ান্তানামো, আবু গারিবের আরেক শাখা। সলিটারি সেলে বসে সারাক্ষণ আমার সেটিই মনে হয়েছে। সেখানকার প্রতিটি মিনিট, ঘণ্টা, দিন-রাতের পরিধির সাথে বাইরের জগতটাকে মেলানো ভার। না যাবে বলে বোঝানো, না আছে লেখার কোনো ভাষা। কাটতেই চায় না, এত এত লম্বা সময়। সারাক্ষণ রাত নেমে থাকে। কখন সূর্য ওঠে আর অস্তাচলে যায় বোঝার উপয় নেই।
জীবনে অমার্জনীয় অপরাধ করে আসা লোকটি হয়তো বিবেকের দংশনে অথবা বাধ্য হয়ে এমন পরিস্থিতি মেনে নিতে পারে। কিন্তু যে অন্যায় করেনি; বরং অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিল, ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের কথা ভেবেছিল, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নিজেকে সঁপে দিয়েছিল, সে কিভাবে এটি মেনে নেবে? এই সংশোধনাগারে থেকে সে কী শুধরাবে, আদৌ কি শুধরাবে? যা কোড অব কন্ডাক্টে নেই, সেই ঘটনাগুলোই ঘটানো হলো সেদিন। ১০ জানুয়ারির বিরোধী দলের সমাবেশ বানচাল করতে ৭ তারিখ নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে চিলের মতো ছোঁ মেরে যে মানুষগুলোকে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো, সেখানে ছিল বিএনপির শীর্ষ থেকে মধ্যম সারির নেতা, ছিল তৃণমূল কর্মী, এমনকি সাধারণ পথচারী পর্যন্ত। সবার স্থান, বিশেষ করে নেতাদের থাকার জায়গা হয়েছিল ওই ফাঁসির আসামিদের আবাসস্থল কন্ডেমড সেলে। আমি না হয় শ্রমিক আন্দোলন করেছি, যৌবনের একটি সময়জুড়ে সমাজ বিপ্লবের পথ ধরে বনে-বাদাড়ে ঘুরে বেড়িয়েছি। কিন্তু সেদিন মৃত্যুকুটিরের মেঝেতে শুয়ে রাত যাপন করতে দেখলাম পরিচ্ছন্ন ও শান্তিপ্রিয় রাজনীতিবিদ, বিএনপির মহাসচিব, সাবেক মন্ত্রী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে।
স্যাঁতস্যাঁতে কন্ডেমড সেলে দেখলাম অবিভক্ত ঢাকার মেয়র, বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য মির্জা আব্বাস, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ জননেতা রিজভী আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, ঢাকার ডেপুটি মেয়র আব্দুস সালাম, ডাকসুর সাবেক জিএস খাইরুল কবির খোকন, সাবেক এমপি ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সেলিম রেজা হাবিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন খান, ছাত্র ইউনিয়নের প্রাক্তন সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ডাকসুর সিনেট সদস্য এ বি এম মোশারফ হোসেন, মুনির হোসেন, সেলিমুজ্জামান সেলিম, ঢাকা জেলা বিএনপি সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, নূরুল ইসলাম নয়ন, পুরান ঢাকার কমিশনার মোশারফ হোসেন খোকনসহ অসংখ্য নিরপরাধ আলেম, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, পেশাজীবী, জনপ্রতিনিধি ও অসংখ্য রাজনৈতিক বন্দীকে।
গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নিবেদিতপ্রাণ সিনিয়র মানুষগুলোকে দেখে আমার শুধুই মনে পড়ছিল যুদ্ধদিনের কথা। এই বয়সে এসে এরকম একটি দেশ দেখবে বলে কি তারা যুদ্ধে গিয়েছিলেন, এমন একটি দেশ প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন বাজি রেখেছিলেন?
কারাবিধিতে ডিভিশন নামে একটি বিষয় আছে। সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিরা কারাগারে এই সুযোগ পেয়ে থাকেন। উদ্দেশ্য হলো- যারা যেমন জীবনাচরণে অভ্যস্ত, কিছুটা হলেও তাদের সেরকম জীবন যাপনের সুযোগ দেয়া। ধরুন একটি ছিঁচকে চোর আরেকজন কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, দুজনের জীবনাচরণ এক রকম হবে না। এখন সেই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে যদি চোরের সাথে রাখা হয়, সেটি যথোপযুক্ত নয়। সে কারণে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসা ব্যক্তিরা জেলে ডিভিশন পান এবং এযাবৎকালে পেয়ে আসছেন। আলাদা একটি রুম, একটি বিছানা, টেবিল-চেয়ার, রুমে একটি টিভি, পড়ার জন্য কয়টি পত্রিকা, কিছুটা ভালো খাবার ইত্যাদি। এখানেও নিজেকে না হয় বাদ রাখি। যেখানে স্বয়ং বিএনপি মহাসচিব, সাবেক মন্ত্রী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ডিভিশন পান না, অবিভক্ত ঢাকার মেয়র মির্জা আব্বাসকে সলিটারি সেলে থাকতে হয়, সেখানে আমি তো নস্যি।
জ্বর যেমন রোগ নয়, শরীরে বাসা বেঁধে থাকা কোনো একটি রোগের লক্ষণ মাত্র, ঠিক তেমনি সুস্পষ্ট লিখিত কারাবিধি থাকার পরও তা না মানা, রাজবন্দীদের কন্ডেমড সেলে রেখে কষ্ট দেয়া, ডিভিশন পাওয়ার নাগরিক অধিকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো, সবই একটি বড় রোগের লক্ষণ মাত্র, আর তা হলো ফ্যাসিবাদ, যা এক-এগারোর পর এ দেশের বুকে বাসা বেঁধেছে। এক এক করে খেয়ে ফেলেছে দেশের মালিক, মানুষগুলোর মানবাধিকার, নাগরিক অধিকার, ভোটাধিকার, এমনকি কথা বলার অধিকারও। আইনসভা আছে, সেখানে নিয়মিত বৈঠক বসে, একের পর এক আইন পাস হয়, অথচ তারা একজনও জনগণের প্রতিনিধি নন। আইন পাস হয়, দেশের মানুষকে শোষণ করার, শাসন করার জন্য। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষ বিচার করার অধিকার প্রশ্নবিদ্ধ। তেমনিভাবে শাসন বিভাগ, যেখানে পুলিশের ইউনিফর্ম খুলে ফেললে আওয়ামী দলীয় লাঠিয়ালদের একটি গ্রুপ ছাড়া কিছুই চোখে পড়বে না। সেক্রেটারি থেকে পিওন, রাষ্ট্রের কর্মচারীরা আজ বনে গেছে দেশের মালিক, আর প্রকৃত মালিক জনগণ হয়েছে তাদের প্রজা। এভাবে দিনে দিনে দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান তারা ধ্বংস করেছে। এখন সেই ধ্বংসস্ত‚পের ওপরে দাঁড়িয়ে ফ্যাসিবাদ নগ্ননৃত্য করছে।
মুক্ত হওয়ার পর এক বক্তৃতায় বিএনপি মহাসচিব আক্ষেপ করে বলেছিলেন, আমি দেখে এলাম, জেলে আমাদের নেতাকর্মীরা নিদারুণ কষ্টে আছে, মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। আমাদের এক একজনের নাম ধরে সেদিন তিনি মুক্তির দাবি তুলেছিলেন। এরকম একটি দায়িত্বে থেকে নিজের কষ্টের কথা তো বলা যায় না। পরদিন পত্রিকায় পড়ে বুঝলাম, তিনি নিজে কষ্ট পেয়েছেন, যার কারণে আমাদের কষ্টগুলো হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে পেরেছেন।
প্রতিটি ঘটনারই একটি পজিটিভ দিক থাকে, এভাবেই বিপ্লবীরা, রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা একে অন্যের আরো কাছে চলে আসে।
আসলে ফ্যাসিস্টদের এবারের টার্গেট ছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ভয় দেখানো, জেলটা বুঝিয়ে দেয়া, যেন জেলের কথা মনে হলে একবার অন্তত ভাবে, ভয় পায়, অন্তর কেঁপে ওঠে। আসলে কি তা হয়? বরং নির্যাতনের শেষ সীমানায় গিয়ে বিদ্রোহ ও মুক্তির বীজ অঙ্কুরিত হয়। ইতিহাস আমাদের সেই শিক্ষাই দেয়। যুগে যুগে সব ফ্যাসিস্টই ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছে কিন্তু পারেনি। এরাও পারবে না। ভ‚রিভ‚রি উদাহরণ আছে, আমি সেদিকে যাব না। মুক্তির পর মহাসচিবের ভাষণগুলো খেয়াল করুন, তার কর্মকাণ্ডগুলো দেখুন, সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি অভিযোগ করেন, জেলে আমাদের সাথে যে আচরণ করা হয়েছে তা কল্পনাতীত। তাকেসহ অন্য সহকর্মীদের জেলে নিয়ে দুই ঘণ্টা জেলের অফিসে বসিয়ে রাখে। বসিয়ে রাখার কারণ হচ্ছে, কোয়ারেন্টিনের নাম করে তারা নেতাদের কন্ডেমড সেলে রাখবে, যেটি ফাঁসির আসামিদের সেল। সিনিয়র নেতাদের একেকজনকে একেকটি সেল দিয়েছে, আর কর্মীদের একটি সেলেই সাত-আটজন করে রেখেছে। অমানবিক, চরম অমানবিক। অতীতে অনেকবার জেলে গেছি, সবসময় ডিভিশন দিয়েছে, অথচ এবার আমাকেসহ সহকর্মীদের জোর করে তারা কন্ডেমড সেলে নিয়ে গেছে এবং চার থেকে ১২ দিন পর্যন্ত বেআইনিভাবে, জোর করে আমাদের কন্ডেমড সেলেই রাখে। অথচ কোর্টের লিখিত নির্দেশ ছিল, আমাদের সাথে যেন কারাবিধি অনুযায়ী আচরণ করা হয়। কারাবিধিতে আমরা কিন্তু প্রথম দিন থেকেই ডিভিশন পাই। সাবেক এমপি, সাবেক মন্ত্রী, রাষ্ট্রীয় পদে যারা দায়িত্বে থাকে, তাদের ডিভিশন দেয়া হয়। সেটি তারা দেয়নি। আমাদের সাথে আরো যে ৫০০ জন ছিলেন, তাদেরকে ১০-১২ দিন ধরে ওই ছোট্ট একটি ঘরের মধ্যে সাত-আটজন করে ঢুকিয়ে রেখেছে। ১০ দিন তাদেরকে শাপলা বিল্ডিংয়ের বাইরে বেরুতে দেয়নি, তিন দিন সেলের বাইরে বেরুতে দেয়নি। জেলারকে নাকি ওপর থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, জেল কাকে বলে বিএনপিকে শিখিয়ে দাও। জেল কর্তৃপক্ষ আইন অমান্য করে আমাদের জেল বোঝানোর জন্য সাধ্যমতো সব অন্যায়ই করেছে।
এখন জেলের প্রতিটি জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানো। প্রাইভেসি বলে কিছু নেই। জেলের ভেতর চরম নির্যাতন, নিপীড়ন মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। যাদের জামিন হয়, জামিন হওয়ার পরপরই পুলিশ তার নামে আরেকটি মামলা রুজু করে, তারপর গ্রেফতার না দেখিয়ে অন্যায়ভাবে জেলে আটকে রাখে। এখানে বাণিজ্যের একটি ব্যাপার আছে। বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান রতনকে এভাবে তিন মাস কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছিল। মীর সরাফত আলী সপু জামিনে বেরুলে জেলগেট থেকে তাকে আবার গ্রেফতার করা হয়েছে। যুবদল সেক্রেটারি মুন্না ও প্রাক্তন সভাপতি নীরবকে একই কায়দায় আটকে রাখা হয়েছে। এটি শেখ হাসিনার আমলের একটি পুরনো খেলা, পুরনো ঐতিহ্য। পয়সাকড়ি দিলে কাউকে কাউকে ছেড়েও দেয়। এটি একটি নিবর্তনমূলক ব্যবস্থা, একটি নির্যাতনমূলক সিস্টেম তারা চালু করেছে। বাংলাদেশ এখন একটি পুলিশি স্টেটে পরিণত হয়েছে। আপনারা শুনলে অবাক হবেন, প্রত্যেক দিন রিজভী আহমেদকে কোর্টে নিয়ে যায় কষ্ট দেয়ার জন্য। একসাথে মামলাগুলোর শুনানি করলেই হয় কিন্তু এই টানাহেঁচড়ার মাধ্যমে তারা রিজভী আহমেদকে শাস্তি দিতে চায়। নিম্ন আদালতে তথাকথিত গায়েবি মামলায় প্রতিদিন শত শত নিরপরাধ মানুষ এমন অমানবিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
মির্জা আব্বাস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, প্রতিশোধের জন্য নয়, তাদেরও মাটিতে শোয়ানো উচিত এই জন্য যে, মাটিতে শুলে কেমন লাগে সেটি বুঝতে পারবে। কথাগুলোতে ক্ষোভ আছে, আছে দুর্নিবার জেদ, আছে বিজয়ের তীব্র আকাক্সক্ষা। কিন্তু ভয়ের লেশমাত্র নেই। ফ্যাসিবাদের পতন অবশ্যম্ভাবী এবং অতি নিকটে। আমি মনে করি, জেলের ভেতরের এই অত্যাচার ফ্যাসিবাদের আত্মায় শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে। এই যে রাজনৈতিক তিক্ততা, বিরোধীদলকে বুঝিয়ে দেয়ার মানসিকতা, বোঝাতে গিয়ে দেশের সংবিধান, আইন, আদালত এমনকি জেলকোড পর্যন্ত ভেঙে চুরমার করে ফেলা হয়েছে। এই ভাঙন আমাদের আগামীকে কোথায় নিয়ে দাঁড় করাবে, দেশটার কী হবে, তা ভেবে দেখার ন্যূনতম যোগ্যতা আওয়ামী শাসকদের আছে কি না সন্দেহ।
লেখক : বিএনপি নেতা
Leave a Reply