সৌদি আরব এবং তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংস্থা ওপেক স্বেচ্ছায় তেলের উৎপাদন হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ‘সতর্কতামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে তারা দিনে ১.১৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন কম করবে বলে ঘোষণা করেছে।
২৩-জাতির গ্রুপটি তাদের মন্ত্রি পর্যায়ের বৈঠকে তেলের উৎপাদন দৈনিক ২ মিলিয়ন ব্যারেল হ্রাস করার সিদ্ধান্তে মোটামুটিভাবে অনড় থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ নিয়ে সৌদি আরব ও রাশিয়া সোমবার ভার্চুয়াল বৈঠক করে।
গত অক্টোবরে ওপেক এবং রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন ১০ দেশীয় জোট নভেম্বর থেকে দৈনিক ২ মিলিয়ন ব্যারেল করে তেল উৎপাদন হ্রাস করতে সম্মত হয়। এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয় ওয়াশিংটন। কারণ যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, তেলের উৎপাদন হ্রাস করা হলে এর দাম বাড়বে।
যুক্তরাষ্ট্র যুক্তি দিচ্ছে যে বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি এবং ইউক্রেন যুদ্ধ তহবিলের জন্য রাশিয়া যাতে তহবিল সংগ্রহ করতে না পারে সেজন্য তেলের দাম কমানো উচিত।
রোববারের স্বেচ্ছায় গ্রহণ করা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অক্টোবরের হ্রাসকৃত পরিমাণের চেয়েও মে মাস থেকে আরো উৎপাদন কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রিয়াদ বলেছে, তারা দৈনিক উৎপাদন হ্রাস করবে পাঁচ লাখ ব্যারেল। আর ইরাক হ্রাস করবে দুই লাখ ১১ হাজার ব্যারেল।
সংযুক্ত আরব আমিরাত বলছে, সে উৎপাদন হ্রাস করবে এক লাখ ৪৪ হাজার ব্যারেল। কুয়েত কমাবে এক লাখ ২৮ হাজার ব্যারেল। ওমান হ্রাস করবে ৪০ হাজার ব্যারের। আর আলজেরিয়া ও কাজাখস্তান যথাক্রমে কমাবে ৪৮ হাজার ও ৭৮ হাজার ব্যারেল (দৈনিক)।
রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাশিয়া ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ পর্যন্ত তেলের উৎপদান কমাবে দৈনিক পাঁচ লাখ ব্যারেল।
সূত্র : আল জাজিরা ও আরব নিউজ
Leave a Reply