উত্তর সুদানে একটি সোনার খনি ধসে অন্তত ১৪ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার খনি কর্তৃপক্ষ একথা জানিয়েছে। সুদানি মিনারেল রিসোর্স কোম্পানি এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে মিশরের সীমান্তের কাছে অবস্থিত জেবল আল-আহমার সোনার খনিকে ঘিরে থাকা একটি পাহাড়ি ঢাল ধসে পড়লে খনিতে এই মারাত্মক ধসের ঘটনা ঘটে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ধসে আরো ২০ শিশুশ্রমিক আহত হয় এবং তাদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সুদানের বার্তা সংস্থা এসইউএনএ-র বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের খুঁজে বের করতে অনুসন্ধান অভিযান শুরু হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এসইউএনএ জানায়, শ্রমিকরা ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে খনির কূপের ভেতর সোনার সন্ধান করছিলেন। ওই ভারী যন্ত্রপাতিই ধসের কারণ।
একটি নিরাপত্তা সূত্রকে উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থাটি জানায়, শ্রমিকরা খনির ভেতরের পানির নিচে আটকা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উদ্ধারকারী দল এখনো জীবিতদের সন্ধান করছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। মন্তব্যের জন্য এপি অনুরোধ করলে, সুদানের এই খনিজ সম্পদ কোম্পানির স্থানীয় মুখপাত্র সাড়া দেননি।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, মৃতদের নিকটবর্তী শহর ওয়াদি হালফায় নিয়ে সেখান তাদের কবর দেয়া হয়।
সুদান একটি প্রধান স্বর্ণ উৎপাদক দেশ। এই দেশ জুড়ে ছড়িয়ে আছে বহু স্বর্ণখনি। নিরাপত্তা-মান এবং রক্ষণাবেক্ষণ দুর্বল হওয়ায় খনি-ধস সেখানে সাধারণ ঘটনা।
২০২১ সালে পশ্চিম কর্ডোফান প্রদেশে একটি পরিত্যক্ত সোনার খনি ধসে ৩১ জন নিহত হয়েছিল।
Leave a Reply