1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪১ অপরাহ্ন

ব্রিটেনে অঙ্গ পাচারের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন নাইজেরিয়ার সিনেটার

‍ইউএস বাংলাদেশ ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০২৩

কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য এক ব্যক্তিকে ব্রিটেনে পাচার করার দায়ে নাইজেরিয়ার এক সিনেটার ও তার স্ত্রীকে লন্ডনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

সিনেটার আইক একওয়েরেমাডু ও তার স্ত্রী বিয়েট্রিস ওই লোকের কিডনি তাদের মেয়ে সোনিয়াকে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। সোনিয়া কিডনি রোগে ভুগছেন।

ব্রিটিশ সরকারি কৌঁসুলিরা বলছেন, লেগোসের ২১ বছর বয়সী হকার এই ভুক্তভোগীকে আট হাজার ডলার ও ব্রিটেনে সুন্দর জীবনের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল।

ওই ব্যক্তি বলছেন, হাসপাতালে ডাক্তারদের সাথে দেখা হওয়ার পরই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে কী ঘটতে চলেছে।

ব্রিটেনের আধুনিক দাসত্ব-বিরোধী আইনের আওতায় একওয়েরেমাডু দম্পতি ও একজন ডাক্তার, যিনি তাদের সাহায্য করেছিলেন, তারাই প্রথম ব্যক্তি যারা অঙ্গ পাচারের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলেন।

আগামী মে মাসে তাদের সাজা ঘোষণা করা হবে।

অসুস্থ মেয়ের জন্য কিডনি
আইক একওয়েরেমাডু ২০০৩ সাল থেকে নাইজেরিয়ায় একজন নির্বাচিত সিনেটার ছিলেন। তিনি একটি ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং প্রফেসরেরও দায়িত্ব পালন করেছেন।

লন্ডনে ওল্ড বেইলি আদালতের শুনানি থেকে জানা যায়, ওই কিডনি একওয়েরেমাডু দম্পতির মেয়ে সোনিয়ার জন্য সংগ্রহ করা হচ্ছিল। তবে সোনিয়াকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

মামলার শুনানি থেকে জানা যাচ্ছে, লন্ডনের রয়্যাল ফ্রি হাসপাতালে ৮০ হাজার পাউন্ড ব্যয়ে প্রাইভেট ট্রান্সপ্লান্টের জন্য ভুক্তভোগীকে গত বছর ব্রিটেনে আনা হয়।

কৌঁসুলিরা বলছেন, তাকে সাত হাজার পাউন্ড পর্যন্ত নগদ অর্থ দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়।

অভিযোগ করা হয় যে মামলার আসামিরা কোনো পারিবারিক সম্পর্ক না থাকলেও রয়্যাল ফ্রি হাসপাতালের ডাক্তারদের বোঝানোর চেষ্টা করে যে ওই ব্যক্তি সোনিয়ার চাচাত ভাই।

কিডনি জটিলতার জন্য সোনিয়াকে প্রতি সপ্তাহে হাসপাতালে ডায়ালাইসিস নিতে হয়। ব্রিটেনে কিডনি দান বৈধ হলেও কোনো অর্থ বা অন্য সুবিধা দেয়া হলে তা অপরাধের তালিকায় পড়ে।

কিডনি দাতা ‘উপযুক্ত নয়’
কয়েকটি কারণে রয়্যাল ফ্রি হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ড. পিটার ডুপন্ট সিদ্ধান্ত নেন যে কিডনি দাতা ওই ট্রান্সপ্লান্টের জন্য অনুপযুক্ত। কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল, অপারেশনের ঝুঁকি সম্পর্কে ভুক্তভোগী কোনো কাউন্সেলিং বা পরামর্শ পাননি এবং আজীবন সেবা যত্নের জন্য তার কাছে প্রয়োজনীয় অর্থ নেই।

আদালতের শুনানি থেকে জানা যায়, এরপর একওয়েরেমাডু দম্পতি তুরস্কে গিয়ে এই অপারেশনের জন্য অন্য এক কিডনি দাতা খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত নেয়।

যুবকটি লন্ডন থেকে পালিয়ে গিয়ে সারে কাউন্টির শহর স্টেইনসে পুলিশ থানায় গিয়ে এ ব্যাপারে কান্নাকাটি করার পর এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়।

লেগোসের স্ট্রিট মার্কেট থেকে লন্ডন
২০২১ সালে আইক একওয়েরেমাডু তার মেয়ের জন্য একজন কিডনি দাতা খুঁজে বের করার দায়িত্ব দেন তার ভাই ডিওয়ে একওয়ারেমাডুকে, কারণ তার মেডিক্যাল প্রশিক্ষণ রয়েছে।

ডিওয়ে একওয়ারেমাডু, যিনি নাইজেরিয়াতে থাকেন, তখন দক্ষিণ লন্ডনের সাদার্কে তার এক সাবেক সহপাঠী ডা: ওবেটার কাছে যান, যিনি সম্প্রতি একজন নাইজেরিয়ান দাতার কাছ থেকে রয়্যাল ফ্রি হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপন করেছিলেন।

ডা: ওবেটা এরপর একটি মেডিক্যাল ট্যুরিজম কোম্পানি ভিনটেজ হেলথ গ্রুপের ডাক্তার ক্রিস অ্যাগবো ও অন্য এক অ্যাজেন্টের মাধ্যমে কিডনি দাতার জন্য ভিসার ব্যবস্থা করেন বলে আদালতকে জানানো হয়।

ডা: ওবেটাকে যিনি কিডনি দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তিকে ভুক্তভোগী চিনতেন। এই ব্যক্তি লেগোসের একটি স্ট্রিট মার্কেটে মোবাইল ফোনের অ্যাক্সেসরিজ বিক্রি করতেন। সেখান থেকে এই কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের জন্য তার সাথে যোগাযোগ করা হয়।

একওয়েরেমাডু দম্পতি ও ডা: ওবেটা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সূত্র : বিবিসি

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com