জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া।
বৃহস্পতিবার ভোরে দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া।
প্রায় এক হাজার কিলোমিটার উড়ার পর এটি জাপানের পশ্চিমে সাগরে গিয়ে পড়ে। এ নিয়ে এক সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং চতুর্থ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করল। যদিও এর আগের তিনটি ছিলো স্বল্প মাত্রার।
এই তৎপরতা শুরু হয়েছিল কোরিয়া উপত্যকায় যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়ার মধ্যেই। এই মহড়া ছিল গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড়।
উত্তর কোরিয়া বারবার বলে আসছে যে তারা এই মহড়াকে উস্কানি হিসেবেই বিবেচনা করছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়েছে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ১০ মিনিটে।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এটি নিশ্চিত করে বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটির ধরণ আন্তঃমহাদেশীয় এবং এটি প্রায় ছয় হাজার কিলোমিটারের বেশি পথ পাড়ি দিয়েছে এক ঘণ্টা ১০ মিনিটে।
তবে এর মধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইওন সুক-ইওল দেশটির সামরিক বাহিনীকে পরিকল্পনা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যৌথ অনুশীলন চালিয়ে যাবার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘এ ধরণের উস্কানির জন্য পিয়ংইয়ংকে মূল্য দিতে হবে।
উত্তর কোরিয়া এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র সর্বশেষ ছুঁড়েছিল এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যেই। ওই সময় এ নিয়ে জরুরি সভায় বসেছিল জাতিসঙ্ঘ এবং ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছিলো জি-৭ দেশগুলো।
আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র এর দূরপাল্লার সক্ষমতার জন্যই বিশেষভাবে উদ্বেগের। যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডও এর আওতায় আছে। আর দক্ষিণ কোরিয়া এটি এমন সময় করল, যখন টোকিওতে ইওন সুক-ইওল জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সাথে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন।
এ বৈঠককে ‘মাইলস্টোন’ বৈঠক হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে যেখানে দেশ দুটির মধ্যে আরো ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা ও সামরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।
উভয় দেশই জানিয়েছে যে সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্রের এ ঘটনার প্রেক্ষাপটে তাদের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে বসবে।
সূত্র : বিবিসি
Leave a Reply