ওমান উপসাগরে চীন, রাশিয়া ও ইরান যৌথ সামরিক মহড়া আয়োজন করতে যাচ্ছে। রুশ ও চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা বুধবার এ কথা ঘোষণা করেছেন।
রুশ সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার থেকে রোববার পর্যন্ত স্থায়ী এই মহড়ার লক্ষ্য হবে সংশ্লিষ্ট সামরিক বাহিনীগুলোর ‘যৌথ পরিকল্পনা’ পরিচালনা, দিবা ও নৈশকালীন গোলা নিক্ষেপ। এছাড়া জব্দ করা জাহাজ উদ্ধার এবং দুর্যোগে পড়া জাহাজকে সহায়তা নিয়েও মহড়া চালাতে তিন নৌবাহিনী।
ওমান উপসাগরের মহড়ায় চীন তার গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ডেসট্রোয়ার ন্যানিং পাঠাবে। দেশ তিনটি ২০১৯ ও ২০২২ সালেও একই ধরনের মহড়া চালিয়েছিল।
চীনের মধ্যস্ততায় ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে অপ্রত্যাশিত সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপটে এই মহড়ার খবর প্রকাশিত হলো।
ওয়াশিংটন যদিও জানিয়েছে যে তারা সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা প্রশমিত করার উদ্যোগকে সমর্থন করে, কিন্তু তবুও তারা আলোচনায় চীনের ভূমিকা খাটো করার চেষ্টা করেছে।
চীন ক্রমবর্ধমান হারে মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম তেল ক্রেতায় পরিণত হচ্ছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা কাঠামোতে যুক্তরাষ্ট্র এখনো প্রাধান্য বিস্তার করে আছে।
বুধবার সিএনএনকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মহড়া প্রত্যক্ষ করবে, তবে এ নিয়ে সে উদ্বিগ্ন নয়।
সূত্র : মিডল ইস্ট আই
Leave a Reply