কয়েক দিন ধরে ‘ইউএফও’গুলো রাজধানী মস্কো এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শহরের বিপজ্জনকভাবে বর্ষিত হচ্ছে। রুশরা এতে ভয় পেয়ে গেছে বলে অনেকে বলছেন। এটাকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের নতুন ড্রোন যুদ্ধ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। মজার ব্যাপার হলো, ড্রোন না বলে রুশ কর্মকর্তা ও মিডিয়া ‘আনআইডেন্টিফাইয়েড ফরেন অবজেক্টস’ (ইউএফও) হিসেবে এগুলোকে অভিহিত করছে।
ইউক্রেন অবশ্য রাশিয়াকে টার্গেট করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে মস্কো ইউক্রেনের বক্তব্যকে গ্রহণ করেনি। অবশ্য, যুদ্ধের পুরো সময়ে একবারও রাশিয়ার ওপর হামলার কথা স্বীকার করেনি ইউক্রেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউক্রেন তার দেশে উৎপাদিত ড্রোন দিয়ে রাশিয়ার ওপর আরো বেশি হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর এতে ক্রেমলিনের শীর্ষ নেতারা চিন্তায় পড়ে গেছেন।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পুতিনপন্থী বেলারাসে রাশিয়ার সবচেয়ে মূল্যবান অস্ত্রগুলোর একটি ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেলারাসের একটি এয়ারফিল্ডে দুটি বিস্ফোরণে রাশিয়অর একটি এ-৫০ বিমান ধ্বংস হয়েছে। রুশবিরোধী গেরিলারা এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে।
এছাড়া রাশিয়ার বিভিন্ন স্থানে আরো কিছু ড্রোন আঘাত হেনেছে।
জার্মানির ব্রেমেন বিশ্ববিদ্যালয়েল ইতিহাসবিদ নিকোলাই মিত্রোখিনের মতে, এখন পর্যন্ত রুশ ভূখণ্ডে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা তেমন ক্ষতি করেনি। ইউক্রেনের ১০টি ড্রোনের আটটিই টার্গেটে পৌঁছাতে পারেনি।
তবে ইউক্রেনের নতুন পরিকল্পনা রাশিয়াকে সন্ত্রস্ত্র করেছে। ইউক্রেন যদি তাদের এই ড্রোন হামলা বাড়ায়, তবে রাশিয়ার জন্য টিকে থাকা বেশ কঠিন হয়ে পড়বে।
সূত্র : আল জাজিরা ও অন্যান্য
Leave a Reply