রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলা যুদ্ধ বন্ধে চীন শান্তি আলোচনার যে প্রস্তাব দিয়েছে, তাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে বেশ কিছু প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘এক বছর ধরে চলা যুদ্ধ থামাতে বেইজিংয়ের এ পদক্ষেপ অত্যন্ত ইতিবাচক।’
গতকাল শুক্রবার যুদ্ধের বর্ষপূর্তির দিনে এ প্রস্তাবকে ইতিবাচক অগ্রগতি বলে আখ্যা দেন তিনি। খবর বিবিসির।
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধে চীনের এ পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটিকে ইতিবাচক বার্তা হিসেবেই গ্রহণ করছি। আমার বিশ্বাস তারা শান্তির পক্ষেই থাকবে এবং রাশিয়াকে কোনো অস্ত্র সরবরাহ করবে না। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে শিগগিরই সাক্ষাৎ করব। সংঘাত বন্ধের পাশাপাশি বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতেও আলোচনা হবে।’
তবে চীনের এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটো। এ প্রস্তাবের কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই বলে দাবি সংস্থাটির মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গের। শি জিনপিং প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। একই সঙ্গে ক্রেমলিনের যুদ্ধ প্রচেষ্টায় অস্ত্র সরবরাহ করা থেকে বিরত থাকতে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে সতর্ক করেছেন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, শুক্রবার এস্তোনিয়া সফরে থাকা ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গের কাছে ইউক্রেন ইস্যুতে চীনের ১২ দফা প্রস্তাব সম্পর্কে জানাতে চাওয়া হয়।
ন্যাটো মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইউক্রেনে অবৈধ আক্রমণের নিন্দা জানাতে সক্ষম হয়নি চীন। এছাড়া আক্রমণের মাত্র কয়েক দিন আগে রাশিয়ার সঙ্গে সীমাহীন অংশীদারত্বের বিষয়ে চীন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। ফলে চীনের খুব একটা বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চীনের গতিবিধি নিবিড় পর্যালোচনায় রেখেছি। আমরা ইঙ্গিত পাচ্ছি তারা হয়ত রাশিয়াকে মারণাস্ত্র সরবরাহের কথা বিবেচনা করছে। এটি হবে খুব বড় একটি ভুল।’
Leave a Reply