ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে সাফল্য লাভ করার জন্য দেশটির ওপর ব্যাপকভাবে বিমান হামলা করতে যাচ্ছে রাশিয়া। রাশিয়া তার সীমান্তের কাছে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার জড়ো করছে, এমন তথ্য দিয়ে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ন্যাটো গোয়েন্দা সূত্র।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর কর্মকর্তারা জানান, রাশিয়ার বিমান মোতায়েনের অর্থ হলো ইউক্রেনের যত দ্রুত সম্ভব বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থার প্রয়োজন। তারা বলেন, যুদ্ধের প্রথম বার্ষিকী এগিয়ে আসতে থাকার প্রেক্ষাপটে রাশিয়া তার আক্রমণও জোরদার করেছে।
ব্রাসেলসসে ন্যাটোর সদরফতরে এক সভায় মার্কিন প্রতিরক্ষাপ্রধান লয়েড অস্টিন বলেন, রুশ বিমান হামলা প্রতিরোধ করার মতো অবস্থায় নেই ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার বিমান শক্তি সম্পর্কে আমরা জানি। তাদের আরো অনেক শক্তি রয়ে গেছে। রাশিয়া যুদ্ধে তাদের বিমান শক্তি প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
ন্যাটোর গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া তার সীমান্তে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার সমবেত করছে।
ইউক্রেনের সাথে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রাশিয়া
ইউক্রেনের সাথে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রাশিয়া । তবে এতে কোনো পূর্বশর্ত থাকবে না। বর্তমান বাস্তবতার ওপর ভিত্তি করে এ আলোচনা হবে।
রুশ ডেপুটি পররাষ্ট্র মন্ত্রী সার্গেই ভার্সিনিন জেভেজডা টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন।
টিভি চ্যানেলটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এই সাক্ষাতকারে সিনিয়র এই কূটনীতিক আরো বলেন, আলোচনার মাধ্যমে যে কোন শত্রুতা শেষ হয়। স্বাভাবিকভাবে এ কথা আমরা আগেও বলেছি। আমরা এ ধরনের আলোচনার জন্যে প্রস্তুত। তবে এসব আলোচনায় কোন পূর্বশর্ত থাকবে না। বিদ্যমান বাস্তবতার আলোকেই আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, সিদ্ধান্তগুলো কিয়েভ ঠিক করে না। এগুলো অন্যান্য রাজধানীতে ঠিক হয়। প্রাথমিকভাবে ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলসে, সুতরাং প্রশ্নগুলো সেখানে পাঠানো দরকার।
বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময়ে এ ধরনের আলোচনা সম্ভব কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ভার্সিনিন বলেন, এটি আমাদের ওপর নির্ভর করছে না। আমরা আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। এখন বাইডেন যদি যথেষ্ট সতর্ক ও জ্ঞানী হতেন, আমি তাকে ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বুঝাচ্ছি।
সূত্র : আল জাজিরা ও এএফপি
Leave a Reply