সিন্ধু অববাহিকাকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে পুরনো ও সবচেয়ে বেশি দিন ধরে চালু থাকা আন্তর্জাতিক পানি ভাগাভাগির চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এর কারণ হিসেবে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত ওই চুক্তির শর্তে বড়সড় পরিবর্তন দাবি করছে।
‘ইন্ডাস ওয়াটার ট্রিটি’ (সিন্ধু পানি চুক্তি) নামে পরিচিত এই সমঝোতাটি ১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। দুই দেশের মধ্যে আলোচনায় মধ্যস্থতা করেছিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক, তারাও ছিল চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী আর একটি পক্ষ। এই চুক্তির প্রধান লক্ষ্য ছিল সিন্ধু অববাহিকার নদীগুলোর জল দুই দেশের মধ্যে ন্যায্যতার সঙ্গে ভাগাভাগি করা।
অন্য দিকে এক্ষেত্রে পাকিস্তানের পছন্দ হচ্ছে সালিশি বা আরবিট্রেশন আদালতের পথ এবং তার আগে বিষয়টিতে তৃতীয় কোনও দেশের নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞকে যুক্ত করা। এর দুদিন পরেই (২৭ জানুয়ারি) দ্য হেগের পার্মানেন্ট কোর্ট অব আরবিট্রেশনে বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তান যে মামলা করেছে তার শুনানি নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ভারত সেই শুনানি বয়কট করে।
পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসও একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ভারত একতরফাভাবে সিন্ধু জল চুক্তিকে পাল্টে দিতে চাইছে যা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ইতিমধ্যে গত সপ্তাহে এই বিতর্কে বিশ্ব ব্যাঙ্কের ভূমিকাকে কটাক্ষ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মন্তব্য করেছে, “আমাদের হয়ে এই চুক্তি ব্যাখ্যা করার দায়িত্ব কেউ বিশ্ব ব্যাঙ্ককে দেয়নি।”
সব মিলিয়ে চুক্তির ব্যাখ্যা নিয়ে দুই দেশের মতবিরোধ এতটাই জটিল আকার নিয়েছে যে পর্যবেক্ষকরা অনেকেই চুক্তিটির ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েছেন।
Leave a Reply