সিন্ধু পানি চুক্তি নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক মতপার্থক্য কাটাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বিশ্ব ব্যাংক। তারা ঠিক করেছে, ভারত ও পাকিস্তান দু’পক্ষের চাহিদা অনুযায়ীই পাশাপাশি প্রক্রিয়া চলবে। বিশ্বব্যাংকের বক্তব্য, মতপার্থক্য খতিয়ে দেখতে ভারতের চাহিদা মাফিক এক দিকে নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ থাকবেন, অন্য দিকে পাকিস্তানের কথা মেনে সালিশি আদালতও চলবে। ২০২২-এর চুক্তির নির্দেশ অনুযায়ী নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক হিসেবে মাইকেল লিনো এবং সালিশি আদালতের চেয়ারম্যান হিসেবে শ্যেন মারফি-কে নিয়োগ করা হয়েছে।
২০১৫ সালে ভারতের কিষেণগঙ্গা এবং রাতলে পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে আপত্তি তুলেছিল পাকিস্তান। তাতে তাদের ভাগের পানি কমে যাবে বলে দাবি করে ইসলামাবাদ। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেয়া হয়েছিল, সিন্ধু পানি চুক্তি মেনেই প্রকল্পে নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি ব্যবহার করবে ভারত। কিন্তু তা গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি ইসলামাবাদের কাছে। ‘নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে পুরোটা খতিয়ে দেখার জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে তখন আবেদন করে পাকিস্তান সরকার। ভারতও তাতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়। কিন্তু ২০১৬ সালে হঠাৎই পাকিস্তান ওই আর্জি ফেরত নিয়ে একটি সালিশি আদালত বসানোর দাবি তোলে। বিষয়টিতে আপত্তি রয়েছে নয়াদিল্লির।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
Leave a Reply