নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেশটির পুলিশ, শিক্ষা ও জনসেবাবিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস হিপকিনস। স্থানীয় সময় বুধবার দেশটির ৪১তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি। বিবিসি, রয়টার্স, আল জাজিরাসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার রাজধানী ওয়েলিংটনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান ৪৪ বছর বয়সী এ রাজনীতিক। জেসিন্ডা অরডার্ন (৪২) আচমকা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে সবাইকে হতভম্ব করে ক্ষমতা ছাড়ার এক সপ্তাহ পর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন হিপকিনস।
শপথ নেওয়ার পর নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সুযোগ ও দায়িত্ব। সাহসের সঙ্গে সামনের দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে চাই।’
অরডার্ন সরকারের কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলার নেওয়া উদ্যোগে নেতৃত্ব দিয়ে মন্ত্রী হিসেবে নিজের একটি ভাবমূর্তি তৈরি করেছিলেন হিপকিনস। সেই ভাবমূর্তিতে ভর করে এবার তিনি দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জায়গায় পৌঁছে গেলেন।
দেশের পরবর্তী নেতা হওয়ার পথে গত রোববার ক্ষমতাসীন লেবার দলীয় ককাসের সর্বসম্মত সমর্থন পান হিপকিনস, এবার আসছে অক্টোবরের সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতা ধরে রাখার কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নেতৃত্ব দিতে হবে তাকে।
বিবিসি জানিয়েছে, দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো ‘শক্তি আর নেই’ এমনটি জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন জেসিন্ডা। তার আনুষ্ঠানিক পদত্যাগপত্র বুধবার গ্রহণ করেন নিউজিল্যান্ডের গভর্নর জেনারেল সিন্ডি কিরো। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি হবে তার শেষ কর্মদিবস। জেসিন্ডার পদত্যাগের ঘোষণার পর ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এমপিরা রোববার হিপকিন্সকে প্রধানমন্ত্রী করার বিষয়ে সর্বসম্মতভাবে ভোট দেন।
জেসিন্ডা আরডার্ন করোনা মহামারি, ক্রাইস্টচার্চ হামলা ও হোয়াইট আইল্যান্ড আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে হওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পের মতো জটিল পরিস্থিতির মধ্যে নিউজিল্যান্ডের নেতৃত্ব দিয়েছেন। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সফল ব্যবস্থাপনার কারণেই তিনি দ্বিতীয় মেয়াদেও জয়লাভ করেন।
ক্রিস হিপকিনস ২০০৮ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০২০ সালের জুলাইয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ওই বছরের শেষ দিকে করোনাবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব বর্তায় তার ওপর। সে সময় শক্ত হাতে করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন হিপকিনস।
Leave a Reply