নেপালের পর্যটন শহর পোখারায় ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিধ্বস্ত বিমানের পাইলট শেষ মুহূর্তেও অস্বাভাবিক কিছু জানাননি। নেপালের বিমান কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র অনুপ যোশী গতকাল এ কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলটি ছিল পরিষ্কার, সব কিছু ভালো দেখা যাচ্ছিল বিরূপ আবহাওয়া কোনো ব্যাঘাত তৈরি করেনি। এদিকে গতকাল সোমবার বিধ্বস্ত স্থান থেকে বিমানটির ব্ল্যাকবক্স (তথ্য সংরক্ষিত ডিভাইস) উদ্ধার করা হয়েছে। রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেমনাথ ঠাকুর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ব্ল্যাকবক্সটি গতকালই নেপালের সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। খবর বিবিসি, দ্য হিমালয়ান টাইমস, দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট।
৭২ আরোহী নিয়ে গত রবিবার রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পোখরায় যাচ্ছিল বিমানটি। বিমানটি অবতরণের অল্প কিছুক্ষণ আগে পার্বত্য এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। ইতোমধ্যে উদ্ধারকর্মীরা ৬৮ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। তবে নিখোঁজ চারজনের জন্য গতকালও উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়। তবে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয় বিধ্বস্ত এলাকায় কারও বেঁচে থাকার আশা নেই বললেই চলে। বিবিসির খবরে বলা হয়, ৩০ বছরের মধ্যে এই দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ এখনো জানা যায়নি। একজনের ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানটি বেশ নিচ দিয়ে উড়ছিল। ভিডিও ধারণকারী দিওয়াস বোহোরা বলেন, বিমানটি হঠাৎ বাঁ দিকে বাঁক নেওয়া পর্যন্ত মনে হচ্ছিল সেটি স্বাভাবিকভাবেই অবতরণ করছে। কিন্তু এর পরই এটি বিধ্বস্ত হলো, আমি দেখলাম এবং বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলাম। আমি মনে করেছিলাম, এখানে সব কিছু শেষ হবে, আমিও মারা যাব।
অভিজ্ঞ পাইলট এবং ইন্ডিয়ান সেফটি ম্যাটারস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা অমিত সিং সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে, বিমানটির লিফট বিকল হয়ে পড়েছিল। বিশেষ করে নিচু এলাকা দিয়ে উড্ডয়নের জন্য কলকব্জায় ত্রুটি ছিল।
Leave a Reply