বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে ব্রিটেনজুড়ে চলছে রেলকর্মীদের ধর্মঘট। বুধবার (৪ জানুয়ারি) শুরু হওয়া এ ধর্মঘট চলবে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। গতকাল মঙ্গলবার ৫ দিনের এ ধর্মঘটের ডাক দেন ব্রিটেনের রেলকর্মীরা।
এ ধর্মঘটের কারণে ব্রিটেনজুড়ে সীমিত আকারে ট্রেন চলাচল করছে। এছাড়া কিছু এলাকায় ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। ফলে রেলযোগাযোগ নির্ভর ব্রিটেনে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ লোকজন।
মঙ্গলবার ব্রিটেনভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যাত্রীদের খুব প্রয়োজন হলেই ভ্রমণের চেষ্টা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত কিছু ট্রেন চলাচল করবে। এ সময় ২০ শতাংশ ট্রেন চলবে বলে কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করেছে।
প্রায় ৪০ হাজার রেলকর্মী বেতন নিয়ে পাঁচ দিনের এ ধর্মঘট শুরু করেছে। যুক্তরাজ্য জুড়ে তারা রেল পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে এ অস্থিরতা চলছিল এবং এ অস্থিরতা গত বছরের বেশিরভাগ সময় ভ্রমণকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল।
ইউকে হসপিটালিটি নামে একটি শিল্প গ্রুপের সিইও কেট নিকোলাস বলেছেন, এ ধর্মঘটের ফলে দেশের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হবে এবং আরো এক সপ্তাহের জন্য শহরের কেন্দ্রগুলোকে ‘ভূতের শহর’ করে তুলবে।
ব্রিটেনের পরিবহন বিভাগের একজন মুখপাত্র বলেছেন, সরকার ‘রেল বিরোধের সমাধানের জন্য প্রস্তুত’।
ওই মুখপাত্র আরো বলেন, এখন সময় এসেছে ইউনিয়নগুলোর সাথে আলোচনার টেবিলে বসে সমস্যার সমাধান করার।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারীর কারণে অর্থনৈতিক স্থবিরতা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় ভয়াবহ মূল্যস্ফীতি শুরু হয়েছে ব্রিটেনজুড়ে। খাদ্য, আবাসন ও নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী ও পরিষেবার দাম দিন দিন জনগণের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
এদিকে, দেশটির সরকারি পরিষেবা খাতের কর্মীদের বেতন গত ১০ বছরে বাড়েনি। ফলে বর্তমান বেতন কাঠামোতে মাস পার করা তাদের জন্য দিনকে দিন কঠিন হয়ে উঠছে।
সূত্র : সিএনএন ও গার্ডিয়ান
Leave a Reply